১৫ নিখোঁজ সেনাবাহিনীর সদস্য ইসহাক জামানকে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে যশোর ডিবি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ইসহাককে সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার হোমেরজান গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
তিনি হারিয়ে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় ডিজি (নম্বর-২৬০) করেন তার পিতা। এরআগে ৫ আগস্ট কমলগঞ্জ থানায় একটি জিডি (নম্বর-১৮০) হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসহাক জামান যশোর সেনানিবাসে কর্মরত। গত ২৩ জুলাই ১২ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি যশোর থেকে মৌলভীবাজারে ফিরছে বলে তার পিতাকে মুঠোফোনে জানিয়ে দেন। এরপর তার কোন সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা।
তার ব্যবহৃত ফোনের নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। তার পিতা কর্মস্থল যশোরে খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান মেলাতে পারেননি। অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ নিয়ে ব্যর্থ হন। ফলে গত ৫ আগস্ট তিনি কমলগঞ্জ থানায় একটি জিডি (নম্বর-১৮০) করেন।
এরপর ৬ আগস্ট তিনি যশোর কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। জিডির তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন নিখোঁজ ইসহাক জামান যশোরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া শান্তি মেম্বারের বাড়ির পাশে শ্বশুর আলাউদ্দিন মনুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। শুক্রবার সেখানে গিয়ে ইসহাক জামানকে উদ্ধার করেন এসআই মফিজুল ইসলাম।
তিনি আরো জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ইসহাক জামান গোপনে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন আলাউদ্দিন মনুর মেয়ে সাহারা পারভীন যুঁথীকে (১৯)। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে এক সময় শহরের দড়াটানায় দেখা হয় তাদের। পরে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ইসহাক বিয়ে করেন যুঁথীকে। যুঁথীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ঘোপ এলাকার একটি বাড়িতে থাকা থাকেন তারা। ঈদের ছুটিতে ইসহাক মৌলভীবাজারে না গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে উঠেন।
তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। পরিবারের লোকজন তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পুলিশকে জানালে ইসহাকের নিখোঁজের নেপথ্যে কারণ জানা যায়। তাকে সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এসআই মফিজুল ইসলাম ।