করোনা আতঙ্কের মাঝেই বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ও এশিয়া কাপকে সামনে রেখে শুরু হল জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। প্রথমদিন রিপোর্টিং করেছেন ১১ ফুটবলার। করোনা ধরা পড়ায় ক্যাম্পে যোগদান করতে পারেনি চার ফুটবলার। বাকিরা করোনা টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়ায় তাদেরকে গাজীপুরে সারাহ রিসোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি দাড়ানো এই ছবি একটা সুখী পরিবারের গল্প। দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর করোনা যাতনা কাটিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ফিরেছেন,একত্র হয়েছেন। সেখানেও ঈদের আমেজ।
৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেজন্য তিন ভাগে ভাগ হয়ে ক্যাম্পে যুক্ত হবেন ফুটবলাররা। প্রথম ধাপে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ একে একে বাফুফেতে প্রবেশ করলেন বিপলু-ইয়াসিন আরাফাতসহ ১১ ফুটবলার। করোনা আক্রান্তের আগেও বাবলু-রাসেলরা জানিয়েছিলেন প্রত্যাবর্তণের আনন্দ।
এরপরই করোনা টেস্টের জন্য বাফুফে থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে যাত্রা। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে পরীক্ষা করে বের হয়ে আসেন বাবলু মানিকরা। ফিরে আসেন আবারো বাফুফেতে। সেখানেই বিকেল পর্যন্ত নিজেদের মত করে সময় কাটান। অপেক্ষা করেন করোনা পরীক্ষার ফলাফলে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। অন্ধকার নামে বাংলাদেশ ফুটবল শিবিরে। টেস্ট করা ১১ ফুটবলারের ৮ জনেরই ফলাফল নেগেটিভ। শুধু চার জন ছাড়া। তারা হলেন প্রথম বারের মত দলে সুযোগ পাওয়া ফুটবলার এম এস বাবলু, সুমন রেজা ও নাজমুল ইসলাম রাসেল। আর, একদিন আগে করোনা আক্রান্ত জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার বিশ্বনাথ ঘোষ। তাদের ছাড়াই উত্তীর্ণরা যাত্রা করেছেন মূল গন্তব্য গাজীপুরের সারা রিসোর্টে।
জানা গেছে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে পুরো কোচিং প্যানেলসহ যুক্ত হবেন হেড কোচ জেমি ডে।