গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদক কারবারীদের মাদক ব্যবসায় সহযোগীতা না করায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে মো. তারিকুল বাগমার ওরফে জিতু বাগমার (৩০) নামের এক যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটালো ৩ মাদক কারবারী। উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর বাগমারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিতু বাগমারের বাবা সিরাজ উদ্দিন বাগমার বাদী হয়ে ওই ৩ মাদক কারবারীর নামে ও অজ্ঞাত ২ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা (নং ১) দায়ের করেন। পরে ওই মামলার তিন আসামীর একজনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, গত ৬ জুন রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে জামালপুর (বাগমারপাড়া) গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিনের ছেলে মাদকের ১১ মামলার আসামী মাদক কারবারী দুলাল বাগমার, একই এলাকার সোলাইমানের ছেলে মাদক কারবারী মোফাজ্জল, রফিকুল ইসলামের ছেলে মাদক কারবারী সাইদুল ইসলাম লিপুকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই ৩ জন জামিনে ছাড়া পেয়ে গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত ২টার দিকে জিতু বাগমারকে বাড়ী থেকে তুলে নেয় তারা। পরে তাদের মাদক কারবারীদের ব্যবসায় সহযোগীতা না করায় জিতুকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এতে সে মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখায় যায়, জিতু বাগমারকে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। প্রতিবেদককে দেখে তিনি হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠলে। আর বলেন, দেখেন ভাই মাদক কারবারীদের তাদের ব্যবসায় সহযোগীতা না করায় আমার কি অবস্থা করেছে। তারা ভেবেছে পুলিশকে তথ্য দিয়ে আমি তাদের ধরিয়ে দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ঘটনায় জিতুর বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে ১ আগস্ট রাতে মোফাজ্জলকে আটকের পর ২ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত আছে।