1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন

বাক প্রতিবন্ধী হিমেল মিয়া অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না

  • সময় : সোমবার, ১ জুন, ২০২০
  • ৫৪০

(একটি মানবিক আবেদন)

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের এক অসহায় বাক প্রতিবন্ধী দিনমজুর মো.হিমেল মিয়া কে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তারা পিতা।

জানা যায়, গত ১৩ মে বুধবার সকালে কনিকাড়া গ্রামের একটি নারকেল গাছে উঠতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হয়ে পা পিছলে নারিকেল গাছ থেকে পওে যায়।পরে গুরত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে।

ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর জানা যায়, বাক প্রতিবন্ধী হিমেলের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। তাকে সুস্থ করতে হলে দীর্ঘমেয়াদী উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। যা করাতে অনেক অর্থেরও প্রয়োজন।


পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসচ্ছল হলেও বাক প্রতিবন্ধী হিমেলকে তার পারিবার গত চার মাস পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে করিয়েছে। অভাবের সংসারে তার সন্তান সম্ভাবা একটি স্ত্রী, অসহায় বৃদ্ধা পিতা-মাতা রয়েছে। যাদের একমাত্র বেঁচে থাকার ভরসাই ছিলো প্রতিবন্ধী হিমেল।


গত কয়েক সাপ্তাহ যাবত দেখা যায়, হিমেলের পরিবার এখন অসহায়ের মতো তাদের প্রতিবন্ধী ছেলেকে বাচাঁনোর জন্য সমাজের বিত্তশালীদের দ্বারে দ্বারে সহযোগিতার আকুতি জানাচ্ছেন।
উপজেলা কনিকাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুমন বশির নামে এক তরুন জানান, প্রতিবন্ধী ছেলেটি প্রায় দীর্ঘ এক যুগ যাবৎ কনিকাড়া গ্রাম্য বাজার তথা নৌকাঘাট হতে শিবপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন রকম মালামাল বহন করে বাড়ী বাড়ী পৌছে দিত। যে বাক প্রতিবন্ধী ছেলেটির মাথায় গ্যাস সিলিন্ডারের একটি বোতল এবং হাতে মালিকের নাম লিখা ছোট্ট এক টুকরো কাগজ নিয়ে যাকে সামনে পেত তাকেই দেখিয়ে জানতে চাইতো কাগজে লিখা নামের লোকটির বাড়ি কোনদিকে তারপর ঐ মালিকের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার,বাজার সামগ্রী পৌছে দিতো।

ভারী মালামাল নিয়ে কেউ যদি আটকা পরতো তখন যার সাহায্যে রক্ষা পাওয়া যেত। সে ছেলেটি আজ চিকিৎসা অভাবে মৃত্যুর পথ যাত্রী।
জানা যায়, সরকারী বেসরকারী যেখানেই চিকিৎসা করানো হউক না কেন যথেষ্ট পরিমান ব্যয় বহন করতে হবে। কিন্তু অসহায় বাবার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা করার সামর্থ নেই বলে বিনা চিকিৎসায় তাকে আবারও গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

বর্তমানে উপজেলার কনিকাা গ্রামের তার নিজ বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে বাক প্রতিবন্ধী হিমেল মানেবেতর জীবন পার করছেন।মাঝে মধ্যে পরিচিত কাউ দেখতে গেলে হাউ মাউ করে কান্না করে আর চোখের জল ফেলে বাঁচার আকুতি জানায় সে।

বি: দ্র: আমার বিশ্বাস যে ছেলেটি বাক প্রতিবন্ধী হয়েও গ্রামের সকল মানুষকে সেবা করে বেড়িয়েছে সেই ছেলেটির চিকিৎসার সাহায্যে অবশ্যই সকল শ্রেনী পেশার মানুষগন এগিয়ে আসবেন। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং আমাদের সবার সামান্য আর্থিক সাহায্যে কথা বলতে না পাড়া বোবা হিমেল আবারও গ্রাম্য বাজারে সকলের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।এই প্রত্যাশা রইল….।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪