রংপুর মহানগরীর বুধবার ৬ টি হাসাপাতাল ও ডায়াগোনোস্টিক সেন্টারকে জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ ও সিভিল সার্জনের যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।এসময় মেডিনোভা হাসপাতালে একজন ভূয়া চিকিৎসকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।সিলগালা করা হয় একটি হাসপাতাল।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরিনা জাহান ও মেটোপলিটন পুলিশের এডিসি(গোয়েন্দা)উত্তম প্রসাদ পাঠকের নেতৃত্বে তিন ঘন্টা অভিযান চালানো হয় নগরীর ধাপ এলাকায়।এসময় অনুমোদন না থাকা ও অব্যবস্থাপনার অভিযাগে, রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন ১নং এমপি চেকপোস্টের
ন্যাশনাল কমিউনিটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ম্যানেজারকে এক মাসবিনাশ্রম কারাদন্ড, সমতা ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা,ম্যানেজারের ২ মাস
আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতাল এন্ড নার্সিং হোমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ম্যানেজারকে ৩ মাস
রংপুর স্কয়ার হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ম্যানেজারকে ২ মাস,
মেঘনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমান, ম্যানেজারকে ১ মাস এবং আইডিয়াল ডায়াগনিস্টিকসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ম্যানেজারকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়।
এছাড়াও মেডিনোভা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম থেকে ভুয়া ডাক্তার সনাতন চন্দ্র (৩৪) কে সহ ৫ জনকে গ্রেফতার এবং ন্যাশনাল হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়।জেলা প্রশাসন বলছে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৭০শতাংশ অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রংপুরে।এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান।করোনাসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার নামে করা হচ্ছে প্রতারণা।আটক করা হয়েছে ভুয়া চিকিৎসক।অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ আবার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় করা হচ্ছে জরিমানা।রংপুরে সাড়ে ৪শ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবসার কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রেভিনিউ। বৈধ কাগজপত্র আছে তারা ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ছে হারাচ্ছে চিকিৎসা সেবা।বৈধ ক্লিনিক মালিকদের দাবি অতি দ্রুত অবৈধভাবে লাইসেন্সবিহীন অনুমোদন ছাড়াই যেসব ক্লিনিকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হার বেড়ে গেছে তাই বন্ধ করার দাবি তাদের।
রংপুর সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানান,অনুমোদনহীন এবং অবৈধভাবে যেসব ক্লিনিক রয়েছে তাদের তালিকা করে প্রশাসনের নিকট দেওয়া হচ্ছে প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ক্লিনিক এবং ডায়গনিক সেন্টার এসব রয়েছে সেখানেই বৈধ এবং দক্ষ চিকিৎসক না থাকার কারণে এসব মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে ।
রংপুর মেটোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা)উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান,রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পুলিশের অভিযান চলছে।এপর্যন্ত ৬টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।জরিমানা করা হয়েছে ১৭টি ক্লিনিকে প্রায় ৮ লাখ টাকা,কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ১৫জনকে।
তিনি আরও বলেন,স্বাস্থ্য সেবায় প্রতারণা করছে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকরা।তথ্য আছে এসব ক্লিনিকে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবৈধভাবে করোনা চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ কারণে অবৈধ ও অনুমোদনহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি-ডিবি)আবু মারুফ হোসেন জানান,রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিবি পুলিশ অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত রাখবে।যারা এসব অনিয়ম ও প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যত ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন তা করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা:আবদুল আলীম মাহমুদ জানিয়েছেন,অবৈধ অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রংপুর নগরীতে থাকবে না।অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মালিকরা্ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।যাদের অনুমোদন নেই তারা কেউ ছাড় পাবে না।