র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারকচক্র, হত্যা মামলার আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, পটুয়াখালী শহরে কিশোর গ্যাং চক্র সক্রিয়। এরা বিভিন্ন সময়ে মারপিট, ছিনতাই, ইভটিজিং, গ্যাং কালচারের মত বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল। সম্প্রতি চক্রটি পটুয়াখালী সদরের দুই জন ছাত্র মোঃ এনামুল হক মুন্না ও নিবির দাস গুপ্তকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর ভাবে জখম করে যার একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় এবং দৈনিক পত্র পত্রিকায় সংবাদটি বহুল প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের সংক্রান্তে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোর গ্যাং চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা পালিয়ে যাবার প্রাক্কালে বরিশাল লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নাম মোঃ সিফাত (২২), পিতা-মশিউর রহমানা কিসুল,মোঃ আরমান (২৪) পিতা- সাজু সিকদার, মোঃ রিজন (২২), পিতা-মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ সাইদুর রহমান (২২), পিতা-মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এরা সবাই পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা এবং তাদের বাড়ি থেকে উক্ত হামলার ব্যবহৃত ০২ টি রামদা, ০১টি ধারালো ছুরি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়
পটুয়াখালী র্যাব-৮ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইফতেখারুজ্জামান জানায়,পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-৮ সচেষ্ট আছে এবং ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।