রংপুরের পীরগঞ্জে শালীর সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বেড়াখাই গ্রামের শালিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেয়েছেন দুলাভাই ময়নুল ইসলাম মিঠু। কলেজ পড়ুয়া চাচাতো শালীর সাথে দীর্ঘ দিন থেকে দহরম-মহরম চলছিল দুজনের। সম্পর্কটি এক সময়ে অনৈতিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
এমনি এক মধুর লগ্নে শালিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় শালার চোখে ধরা পড়েন প্রেমিক দুলাভাই। অবস্থা বেগতিক দেখে পড়নের লুঙ্গি খুলে দিয়ে ভো-দৌড় দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বেড়াখাই গ্রামে ঘটেছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত: জোয়াদ মন্ডলের পুত্র, পীরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসের দলিল লেখক ও কুমেদপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২ সন্তানের জনক ময়নুল ইসলাম মিঠু (৩৫), এর সাথে পাশের বাড়ীর গোলাম মাসুদ লাভলু মিয়ার কলেজ পড়ুয়া কন্যা।
এক পর্যায়ে দুইজনের মাঝে মন দেয়া নেয়া শুরু হয়। ঘটনার দিন মেয়ের বাড়ীতে কোন লোকজন না থাকার সুবাদে দুলা ভাইয়ের সাথে শালির আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় মেয়ের চাচাতো ভাই ও মিঠুর শালা। চতুর দুলাভাই শালার উপস্থিতি টের পেয়ে ধস্তাধস্তীর এক পর্যায়ে কৌশলে সটকে পড়ে ।
এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ময়নুল হক মিঠুর সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসফাক খান ফুয়াদ চৌধুরী জানান- সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু ইব্রাহিম লাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- ঘটনাটি সম্পর্কে আমাকে কেউ কোন অভিযোগ করে নাই। সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে বললে তখন আমরা ব্যবস্থ নেব।
এব্যপারে মেয়ের বাবার সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন-আমার মান সম্মান সব শেষ আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে আমি মিঠুর শাস্তি চাই। উল্লেখ্য, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।