1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

বোয়ালমারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খামারীদের প্রশিক্ষণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

  • সময় : রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০
  • ২১২

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারায়ন চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অর্থায়নে ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পে খামারীদের প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।

মোট ১শ জন খামারী ওই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। করোনার আগে ২৫ জন করে ৫০ জন তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বাকিদের প্রশিক্ষণ জুনে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিলম্বিত হয়।

অবশেষে ২৫ জন করে দুই ব্যাচে ২০ জুলাই থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারায়ন চন্দ্র সরকারের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণে ১শ জন খামারীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের অধিকাংশেরই খামার নেই।

তারা বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এমন কিছু খামারীর নাম অন্তর্ভুক্ত আছে যারা প্রশিক্ষণের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। প্রশিক্ষণ তিন দিনব্যাপী হওয়ার কথা থাকলেও শেষ ব্যাচের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দুই দিনব্যাপী হয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ভাতা বাবদ প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে মোট ৭শ ৫০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৫শ টাকা করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাহিরভাগ গ্রামের মো. আসগার বলেন, আমার কোন খামার নাই। আমি পাটের ব্যবসা করি। আমি প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেই। প্রশিক্ষণ থেকে ৫শ টাকা দিয়েছে। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড লোকনাথ গ্রামের মো. কবিরের নাম প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। কোন প্রশিক্ষণ ভাতাও নেননি। অথচ প্রশিক্ষণার্থী দেখিয়ে তার প্রশিক্ষণ ভাতার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী পৌরসভার একই ওয়ার্ডের হায়াতুল বলেন, আমার কোন খামার নাই, গেরস্থ হিসেবে কিছু গরু আছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও আমাদের নামে মাত্র দুই দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিন দিনের প্রশিক্ষণ ভাতা বাবদ ৯শ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ৫শ টাকা দিয়েছে। অনিয়মের ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারায়ন চন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমার ডিডি তার লিখিত অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে এবং তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমি জানি। তবে অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪