কখনো সচিব, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা আবার কখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিয়াচন্ডি গ্রামের মৃত লতিফ মাস্টারের ছেলে শাহাদৎ হোসেন ওরফে শাহা ওরফে শাহাদৎ জামান ওরফে কন্সটেবল জামান ওরফে সচিব মঞ্জুরুল ইসরাম ওরফে সচিব গোলাম কিবরিয়া (৫২)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। যশোরের ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছে। একই সাথে তার স্ত্রী নাজমা বেগমকেও (৪০) আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও আটটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ তাদের আটকের তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সালাহউদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি (ক-সার্কেল) ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ২০১৩ সাল থেকে শাহদৎ হোসেন দেশের বিভিন্ন জেলায় সচিব, পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতারণা করে আসছে। সাধারণ মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এমন তথ্য যশোর জেলা পুলিশের কাছে আসে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম প্রতারক শাহাদৎ হোসেনকে শনাক্ত করেন এবং ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি পরিদর্শক সোমেন দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শেরপুর জেলা থেকে তাদেরকে আটক করেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, গোলাম কিবরিয়ার সাথে তার স্ত্রী এই সব প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করতো বলে পুলিশের কাছে খবর আছে। সেই কারণে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান নাজমা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন এবং গোলাম কিবরিয়াকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।