কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলেও গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়ের আমেজ ছড়িয়ে পড়েনি।
পানছড়ি বাজারে গরু-ছাগলের কমতি না থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম। এতে খামারি – ব্যবসায়ী ও ইজারাদারের কপালে হতাশার চিহ্ন দেখা যায়।
গরু খামারি মোঃ আব্দুল মালেক মির্জা জানান তার ছোট বড় দশটি গরু বিক্রির জন্য তৈরি ছিল। এখনো বিক্রি করতে পারে নাই ।
বিশেষ করে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১০০ কেজির কালাচাঁদ কে কোন হাটে নিতে না পেরে হতাশায় আছেন। কালাচাঁদ লম্বায় ১০ ফুট উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট। কোরোনা ভাইরাসের কারনে ঈদ উপলক্ষে সমতলের ব্যবসায়ী না আসায় বাজারে চাহিদা কম। তবে তিনি আশাব্যক্ত করে বলেন, এখনো ঈদের অনেক দেরি। সমতলের শিল্পপতিদের থেকে কেউ না কেউ তার ১১০০ কেজির কালাচাঁদ কে কিনে নেবেন।
পানছড়ি বাজার ইজারাদারের হিসাব মতে গত একমাসে ১০০ টি গরু বিক্রি হয় নাই। গরু ব্যবসায়ী আব্দুল হক , ওহেদ মিয়া,, রঙ্গু মিয়া জানান বাজারে স্থানীয় ক্রেতা কম। অনেকেই গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে। আবার অনেকের টাকার চাহিদা থাকায় কম দাম গরু বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়াও সমতলের ব্যাপারী না আসায় চাষী সহ আমরা ব্যবসায়ীরা লোকশানের খাতায় পড়েছি।