ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু যত্রতত্র জবাই না করে নির্ধারিত স্থানে জবাই করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
মেয়র বলেন, ‘নির্ধারিত স্থান ছাড়া যততত্রে কোরবানির পশু জবাই রোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধানের বিষয়টিও দেখভাল করা হবে। কোথাও ব্যতয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রসিকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এ ঘোষণা দেন।
মোস্তফা বলেন, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ১১৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা চাই নগরবাসী যততত্র জবাই না করে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করুক। সবাই সচেতন হলে ৪৮ ঘণ্টা নয় ২৪ ঘণ্টার আগেই বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাইকরণ ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধ এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ইতোমধ্যে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে।
পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ্য করে মেয়র জানান, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করবে। এতে ১২০টি ট্রলি ও রিক্সাভ্যান এবং ২৫টি ট্রাক ব্যবহার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মিঞা। উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান এবনে তাজ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু প্রমুখ।