1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন

অবশেষে চরের বাতিঘর খ্যাত শিবচরের উচ্চ বিদ্যালয়টি পদ্মায় বিলীন !

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
  • ৪৩১

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বাতিঘরখ্যাত সেই উচ্চ বিদ্যালয়টি অবশেষে পদ্মার ভাঙনে বিলীন । বুধবার (২২ জুলাই) মধ্যরাতে বিদ্যালয়টি মাঝ বরাবর দ্বিখন্ডিত হয়ে হেলে পরে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৪ টার সময় পদ্মার বুকে বিদ্যালয়টি ন হেলে পরে বিলীন হয়ে যায়।

এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে চরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পানিবন্দী হয়ে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।

উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের নূরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি গ্রামে অবস্থিত এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবনটি হেলে পড়ে পদ্মায়বিলীন হয়ে যায়।


২০০৯ সালে স্থাপিত হয় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস. ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি। বন্দোরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টির কারণে শিবচর উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি. জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসত খাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪ টি গ্রাম ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো।

বিদ্যালয়টি ছিল চরাঞ্চলের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন তিনতলা ভবনসহ আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ একটি উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চরের এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের সকলেই চরের বাসিন্দা। মূল ভূ-খন্ড এখান থেকে বেশ দূরে হওয়ায় চরের ছেলে-মেয়েরা অন্যত্র গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেতো না। এই বিদ্যালয়টি হওয়ার কারণে এখন চরের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতো।

চরের ছোট ছোট প্রায় ২৪ টি গ্রাম থেকে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী ছিল বিদ্যালয়টিতে।

স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই বন্যার পানিতে ডুবে যেতো বিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা।

গত বছর পদ্মানদী ভাঙতে ভাঙতে পেছন দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির নিকটে চলে আসে। এরপর গত বছরই ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখে।

চলতি বর্ষা মৌসুমেও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলতে থাকে ওই এলাকায়। তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচন্ড স্রোতের কারণে জিও ব্যাগ ফেলে তেমন সুবিধা করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন তলা ভবনের বিদ্যালয়টি পুরো পুরি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।

বন্দরখোলা ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ইসমাইল জানান,’বুধবার রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হতে থাকে স্কুলের ভবনের মধ্য থেকে। খবর পেয়ে অসংখ্য মানুষ ট্রলারে করে বিদ্যালয়টি দেখতে আসে। আমাদের সামনেই বিদ্যালয়টি মাঝখান থেকে ফাটল ধরে পেছন দিকে হেলে পরে।’আর আজ বিকেলে বিকট শব্দ করে পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে যায়।

তিনি আরো জানান,’বিদ্যালয়টি মনোরম পরিবেশে একটি দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় ছিল। গতকাল রাতে বিদ্যালয়টি ভাঙন ধরলে এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পরে। চোখের সামনে এভাবে বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়রা আবেগে আপ্লুত হয়ে পরে
বন্দর খোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন- আমাদের চর এলাকার বাতিঘরখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চোখের সামনে সর্বনাশা পদ্মায় বিলীন গেল।

চোখ দিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। আমাদের চরের শিক্ষার্থীদের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪