1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে পাশে দাঁড়াল সেনাবাহিনী ও খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ

  • সময় : বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
  • ২২৩

মেধাবী শিক্ষার্থী মােঃ কাউসারুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য তার পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এবং খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।বুধবার (২২ জুলাই) সকালে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের পক্ষে শিক্ষা পরিদপ্তরের পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্পের তহবিল হতে মােঃ কাউসারুল ইসলামের পিতার নিকট চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার (৪,৫০,০০০) টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।

খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মােঃ ফয়জুর রহমান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি-এর পক্ষে এই চেক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মােহাম্মদ কামরুজ্জামান, পিএসসি।

এসময় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটুআই মেজর মােঃ সালাহউদ্দিনসহ উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং খাগড়াছড়ি ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ রামগড় থেকে সিএনজি যােগে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে আসার পথে পাতাছড়া কলাবাড়ি মােড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সাথে মুখােমুখি সংঘর্ষে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয় একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মােঃ কাউসারুল ইসলাম।

সে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার উত্তর লামকুপাড়ার মােঃ নুরুজ্জামান দুলালের ছেলে। তার বাবা মােঃ নুরুজ্জামান দুলাল জানান, দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত পায় এবং ডান পায়ের হাড় ০৩টি অংশে ভেঙ্গে গুড়া হয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হেলথ সেন্টার, মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল- নারায়ণগঞ্জ, আলকারিম জেনারেল হাসপাতাল- ঢাকা এবং বর্তমানে কমফোর্ট হাসপাতাল- ফেনীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে । তার বাবা জানান, ইতােমধ্যে তার চিকিৎসায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এবং আরাে ৭/৮ লক্ষ টাকা প্রয়ােজন।

বর্তমানে ছেলের চিকিত্সা করার মতাে তার সামর্থ্য নাই । নিরুপায় হয়ে তিনি খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে আর্থিক সহযােগিতার জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার (৪,৫০,০০০) টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, শিক্ষা পরিদপ্তর এবং খাগড়াছড়ি রিজিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আল্লাহর অশেষ দয়া ও এই সহযােগিতায় তার ছেলে একটি নতুন জীবন ফিরে পাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪