1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে তিস্তার ঘূর্ণিস্রোতে বিলীন বুড়িরহাট স্পারের প্রায় ৫০ মিটার বেশি

  • সময় : বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
  • ২৯৪

তিস্তার পানি বাড়ছে। বাড়ছে প্রবল স্রোত। ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ বুড়িরহাট স্পারটির প্রায় ৫০ মিটারের বেশি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত তিনদিন ধরে পানি উন্নয়ন বালুর বস্তা ফেলে স্পারটি রক্ষার চেষ্টা করলেও প্রবল ঘূর্ণিস্রোতের কারণে শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় স্পারটির অংশ বিশেষ বিলীন হবার পর আতংক দেখা দিয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষের মধ্যে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তার ভাঙন থেকে জনপদ রক্ষায় ৩৫০ মিটার দীর্ঘ স্পারটি নির্মাণ করা হয়। এর ১৫০ মিটার কক্রিটের তৈরী। বাকীটা মাটি ও ব্লকের তৈরী। গত তিন দিন ধরে তিস্তার মূল স্রোতধারাটি সরাসরি আঘাত করছিলো এই স্পারটিকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে শত শত শ্রমিক পালা করে দিন রাত স্পারটি রক্ষার চেষ্টা করেছে।

কিন্তু কংক্রিটের অংশটিকে বিচ্ছিন্ন করে মাটির তৈরী অংশের ৫০ মিটার প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। এলাকাবাসী জানান, স্পারটি ভেঙে যাওয়ার ফলে উজান ও ভাটিতে ৫-৬টি গ্রামের মানুষ ভাঙন আতংকে রয়েছেন। পাশাপাশি বুড়িরহাট ও কালিরহাট বাজারসহ ঝুঁকিতে পড়েছে গাবুরহেলান গ্রামের স্পারটিও। মঙ্গলবার সরেজমিন রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাটে গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ ভেঙে যাওয়া স্পারটি দেখার জন্য ভিড় করছে।

পাশেই ঘর বাড়ির অবশিষ্ট অংশ সরিয়ে নিচ্ছে একটি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। এদের একজন শরিফা বেগম জানান, হঠাৎ করেই স্পারটি ভাঙনের কবলে পড়ায় তাদের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে মালামাল রেখে কোনমতে দিনযাপন করছেন। একই অবস্থা সালাম, মজিদুল, তৈয়ব, মঞ্জু মিয়াসহ কয়েকজনের। সবাই তিস্তার আগ্রাসনে ভিটেহারা।

ঘড়িয়ালডাঙা গ্রামের ইয়াসিন আলী জানান, এই স্পারটি অনেক কয়েকটি গ্রামকে রক্ষা করেছিলো। কিন্তু এখন সবাই ঝুঁকিতে পড়েছেন। দ্রুত স্পারটি মেরামত না করলে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, প্রবল ঘূর্ণিস্রোতের কারণে স্পারের অংশ বিশেষ বিলীন হয়েছে। পানি কমলে পাইলিং ও জিও ব্যাগ ফেলে স্পারটি মেরামত করা হবে।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ জানান, স্পার ও বাঁধগুলো রক্ষায় আগে থেকেই প্রস্ততি নেয়া হলেও বন্যার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে স্পার ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগ করে দ্রুত এসব ভাঙা অংশ মেরামত করে জনগণের ভোগান্তি কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪