যশোরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার অভিযানের প্রথম দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার বহুলালোচিত মহুয়া ক্লিনিকে সিলগালার পর ভুয়া চিকিৎসক খলিলুর রহমান খলিলকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ জানান, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের তালিকা করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযা্ন পরিচালনা করা হবে।
পেশকার নাজমুল হোসাইন জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মহুয়া ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় আদালত দেখতে পায় ক্লিনিক পরিচালনার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। নেই কোনো নার্স। সেখানে রোগী বহনের কোনো ট্রলিও নেই। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্লিনিকে রোগী অপারেশনের প্রমাণ মেলে। এসব কারণে আদালত ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়। একইস সাথে ক্লিনিক মালিক খলিলুর রহমানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে স্বাস্থ্য বিভাগের দুইজন প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, মহুয়া ক্লিনিকের পরিচালক খলিলের এমবিবিএস ডিগ্রি নেই। এরপরেও তিনি চিকিৎসক পরিচয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিগত দিনে ভুয়া চিকিৎসক খলিলের অপচিকিৎসায় কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এই নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও থেমে ছিলোনা খলিলের মানুষ ঠকানোর ব্যবসা। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠান সীলগালা ও খলিলের কারাদন্ডের পর স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।