রংপুরের পীরগাছায় উপজেলায় অব্যাত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও রবি শস্যের ক্ষেতসহ ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ। বৃষ্টিপাতের কারনে কাজে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।শনিবার মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা আবারো প্লাবিত হয়েছে। অনেকের বাড়িতে ফের পানি উঠে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলার উঁচু এলাকাগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের লাইনগুলো তলিয়ে গেছে।
অধিকাংশ রবিশস্যের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় হঠাৎ ভারী বর্ষণে অনেক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। ফলে কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে।
উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মাঝবাড়ী গ্রামের ছলেমান আলী বলেন, রাত থেকে ভারী বর্ষণের ফলে আমার দুই বিঘা জমির পটল ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে পটল গাছগুলো এখন আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। এতে আমার এখন দুই লাখ টাকা ক্ষতি হবে।পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম গ্রামের মৎস্য চাষী ইব্রাহিম ময়া জানান, রাত থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় তার পুকুরের প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে।
হঠাৎ ভারী বর্ষণের ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় মাছ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার রাত থেকে রংপুর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে অনেক চাষি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সহযোগীতা করা হবে।