দীর্ঘ ১৩০ ঘন্টা আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থেকে অবশেষে আর কোনদিন না ফেরার দেশে চলে গেলেন চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার জনপ্রিয় ও ত্যাগী সিপিপি কর্মি সাইদুল আলম তালুকদার(২৪) প্রকাশ আলম। আলম নেই এ কথাটা ভাবতেই এলাকাবাসী কেঁদে উঠছেন ঢুকরে ডুকরে।
তাঁর মৃত্যুতে সমগ্র এলাকা শোকের ছায়ায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে। এমন সম্ভাবনাময় এক যুবকের মৃত্যুতে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।১৭ জুলাই, শুক্রবার রাত ৮.১৫ টায় চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারী হাসপাতাল সিএসিআরের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দির্ঘ ১৩০ ঘন্টা আইসিইউতে রেখে অবশেষে আলমকে মৃত ঘোষনা করে। গত ১৪ জুলাই সিএসিআর কতৃপক্ষ বাইক দুর্ঘটনায় মারাত্বকভাবে আহত আলমকে ৪৮ ঘন্টা আইসিইউতে রেখে মৃত ঘোষনা করেছিল। গ্রামে কবরের প্রস্তুতি চলছিল, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল আলমের মৃত্যুসংবাদ। সোস্যালমিডিয়া হয়ে উঠেছিল আলমময়, পরমুহুর্তে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে হাসপাতাল থেকে খবর এল, আলমের পাল্স পাওয়া যাচ্ছে। হাজারো স্বজন ও শুভাকাংখী আশায় বুক বেঁধেছিল, তাদের প্রিয় আলমকে আল্লাহ আবারো ফিরিয়ে দেবে তাদের কাঁছে। দোয়া আর আশির্বাদে ভরে উঠেছিল সোস্যাল দুনিয়া। স্রষ্টার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল, সবার প্রিয় আলমকে নিয়ে কাঁদাবে শতভাগ এলাকাবাসীকে, পুরো বাঁশখালীবাসীকে।
অবশেষে তাই হল,- ক্ষনে ক্ষনে চরম অিনিশ্চয়তা আর আশার দোলাচলে দুলিয়ে দুলিয়ে অবশেষে চিরতরে দয়াময় আল্লাহ তাঁর সুনিপুন কারিগরী দেথিয়ে সবার প্রিয় আলমকে সবার দোয়া ওনিরেট ভালবাসায় স্থায়ীভাবে তাঁরই মেহমান করে নিয়ে গেলেন।উল্লেখ্য: বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারা ১ নং ওয়ার্ডের ফজর রহমান তালুকদার বাড়ির মৃত সৈয়দ আহামদের একমাত্র সন্তান সৈয়দুল আলম তালুকদার গত ১২ জুলাই,রবিবার সকাল ১০ টার সময় বন্ধু ফারুখকে সাথে নিয়ে নিজের বাইক যোগে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে এক নিকটাত্বীয় রোগীকে দেখতে যাওয়ার সময় চট্গ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের (আরাকান রোডে) চকরিয়া পেট্রোল পাম্প এলাকায় মহাসড়কের ডানপাশে একটি বাইরোড থেকে দ্রুত উঠে আসা একটি সিএনজি তাদের বাইককে সজোরে ধাক্কা দিলে মুহুর্তেই আলমের বাইকটি মহাসড়কে উল্টে গিয়ে আলম এবং তার সহযোগী ফারুখ রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে ফারুক গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকলেও সাইদুল আলম তালুকদার আলম হাজার হাজার আত্বীয়-স্বজন ও শুভাকাংখীর অকৃত্রিম ভালবাসা ও দোয়ার সাগরে ভাসতে ভাসতে অবশেষে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমালেন আর কোনদিন না ফেরার দেশে।
পিতৃহীন আলমের একমাত্র মা একটি বোন ছাড়া আর কেউ রইলনা। আলম ছিল মা-বোনের একমাত্র স্বপ্ন। ৯১ এর প্রলংকরী ঘুর্নিঝড়ে তার বাবা মারা যাওয়ার পর এই একমাত্র ছেলেকে স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু করে মা আর বোন এগুচ্ছিল নিশ্চিত স্বপ্নপুরনের গন্তব্যে। বিয়ের প্রক্রিয়াও চুড়ান্ত হয়েছিল সম্প্রতী, চাকরী-ব্যবসায় অল্পদিনেই সফলতা অর্জন করে আকাশসম হৃদয়ের অধিকারী- দেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী অল্পদিনেই সর্বস্তরের জনতার ভালবাসার প্রিয় মানুষে পরিনত হয়ে উঠেছিল আলম। আলম তুমি পরম সুথে থেকো সেই স্থায়ী ঠিকানায়।