অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভাটিবাংলা হাওরের শার্দূল সর্বজন শ্রদ্ধেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছোটভাই এবং তদীয় সহকারি একান্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবদুল হাই (আমাদের সকলের প্রিয় হাই ভাই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে পৌনে ১টায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর দপ্তরের জনবান্ধব, সদা হাস্যোজ্জল, সরলপ্রাণ, পরোপকারী, অভিজ্ঞ এ পেশাজীবীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন তিনি। নিজে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ গুণীজন সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজিনীতির প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল থেকে আওয়ামীলীগকে তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করণে নিজেকে নিবেদিত করে গিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর তার বড়ভাই বর্ষীয়ান নেতা জনাব মো. আবদুল হামিদ প্রথমে ডেপুটি স্পিকার,পরে বিরোধী দলীয় উপনেতা, স্পিকার এবং সর্বশেষ দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি জায়গাতেই তিনি সহকারি একান্ত সচিব হয়ে ভাইয়ের পাশাপাশি ছিলেন।
বিশিষ্ট এ পেশাজীবীর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবীকে হারাল। প্রবীণ এ দেশপ্রেমিক ব্যাক্তিত্বের মৃত্যুতে দল, এলাকাবাসী ও শুভানুধ্যায়ীগণ আজ শোকে মূহ্যমান।
করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক এ চরম দুর্ভোগকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ মহান কীর্তিমানের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিনগণ, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর প্রধানগণ, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছেন।
সেইসাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।