বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাস্থল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ক্লিনিক্যাল বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, ও পিপিই এবং রোগীদের সৃষ্ট বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে ফেলায় স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন আরও বাড়ছে।
বিশেষ করে করোনা মহামারীকালে এর ভয়াবহতা আরও প্রকট হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বরিশাল মেডিকেলের করোনা ইউনিট লাগোয়া ভবনটির দক্ষিণ দিকে মূল সড়কের পাশে এসব বর্জ্য স্তূপাকারে এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সৃষ্ট বর্জ্য। এর মধ্য থেকে পথ শিশুরা ভাঙারির দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যসব জিনিসপত্র সংগ্রহ করছে। কুকুর, বিড়াল এইসব বর্জ্য টেনেহিঁচড়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ক্লিনিক্যাল বর্জ্যরে জীবাণু দ্রবিভূত হয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর ও ড্রেনে চলে যাচ্ছে।
এতে করোনাসহ যেকোনো রোগের জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপক আশংকা রয়েছে। শেবাচিমে সূত্রে জানা যায়, এখানে ইনডোর-আউটডোর মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ এখানে চিকিৎসা নেন। এর সঙ্গে নতুন ১৫০টি করোনা বেড যুক্ত হয়েছে। এ বিপুলসংখ্যক মানুষের চিকিৎসায় প্রতিদিন কয়েক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কিন্তু এসব বর্জের ব্যবস্থাপনার কোনো সঠিক পদ্ধতি হাসপাতালে নেই। শেবাচিমের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রায় তিন মাসধরে হাসপাতালের বর্জ্য নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন, এতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর কনজার্ভেন্সি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেছেন, নিয়মানুযায়ী হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকের নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
মেডিকেল বর্জ্যের মতো ঝুঁকিপূর্ণ আবর্জনা নেয়ার কোনো বিধান আমাদের নেই। এছাড়া আমরা ওই বর্জ্য নিয়ে ফেলব কোথায়? যেখানেই ফেলব, সেখানেই তো ঝুঁকির মুখে পড়বে মানুষ। এ বিষয় হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার বাকির হোসেনের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।