বরিশালে শাশুড়ী কর্তৃক প্রবাসী জামাতার দোতালা ভবন দখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও খুন-যখমের হুমকীর মুখে আতঙ্কে হলান্ড প্রবাসীর পরিবার। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী থানায় প্রবাসীর ভাই মোঃ মহিউদ্দিন আকন জীবনের নিরাপত্তা ও ভবন দখল মুক্ত রাখার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। ডায়েরী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায় উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামের মৃত আবু বক্কর দেওয়ানের মেয়ের সাথে টরকী গৌরনদী উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে কবির হোসেন আকন (৫৭) বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকেই কবির হোসেন হল্যান্ড ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। সেই সুবাদে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। কবির হোসেন আকন বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার জে এল নং- ৫০ মৌজা- বগুড়া আলেকান্দা এস, এ ৮৫৪৮, খতিয়ান হাল-৫৮৪৭ এ ২ ইউনিটের ভবন নির্মাণ করে। সে ভবনে কবিরের শাশুড়ী মমতাজ বেগম আশা (৭০) বসবাস করতো এবং বাড়ী ভাড়া উত্তোলন করে পূঁজি ভারী করছে। এছাড়াও জামাতার ভবনের দিকে দৃষ্টি পড়ে শাশুড়ী মমতাজ বেগমের। কবির হোসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশে এসে শাশুড়ীর কাছে বাড়ী ভাড়ার হিসেব বুঝে নিতে চাইলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও মামলায় জড়ানো হুমকি দিয়ে তার নিজ ভবন থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এ নিয়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন স্ত্রী তালাক প্রদান করে কবিরকে। তালাক প্রদানের পরেও বাড়ী ছাড়ছে না শাশুড়ী। এরপর ৬ জুলাই প্রবাসী কবিরের অনুরোধে ভাই মহিউদ্দিন আকন ও খালাত ভাই রফিক সহ পরিবারে কয়েকজন সদস্য মিলে ভাড়া উত্তোলন করতে গেলে তাদেরকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে এবং খুন-যখমের হুমকি দিয়ে ধারালো দা নিয়ে তেড়ে আসে। ভয় সেখান থেকে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
এছাড়াও প্রবাসী কবিরের খালাত ভাই মানসু আলী রফিককে ০১৭১২৫৭০৮২৮ নম্বর দিয়ে ফোন করে মমতাজ বেগম আসার ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে বরিশাল এলাকা ছাড়া করবে এবং খুন-গুম চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করছে।এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় প্রবাসী কবিরের ভাই মহিউদ্দিন আকন ৯ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
মমতাজ বেগম আসার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই প্রভাবশালী নারীর কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন প্রবাসী পরিবার।