গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকার বাসিন্দা বিপুলা রানী (৪০)। তিনি মৃত নির্মলের স্ত্রী। নির্মল একটি মিষ্টির দোকানের কারিগর ছিলেন। বিপুলা যেখানে রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন সেই রুমের মাসিক ভাড়া ৬০০ টাকা। তাদের একমাত্র মেয়ে নিশিতা (১৪)।কিছুদিন আগে বিপুলা’র গর্ভে ০৭ মাসের সন্তান রেখে মারা যান তার স্বামী নির্মল। দু’চোখে আধার নেমে আসে বিপুলা’র। গর্ভে সন্তান, মেয়ে, বাড়ী ভাড়া কিভাবে চলবে জীবন? এরই মাঝে গত ২৮ জুন সদর থানাধীন কেয়ার হাসপাতালে জন্ম লাভ করে বিপুলা’র পুত্র সন্তান। ০৮ মাসের মাথায় জন্ম নেয়ায় শিশুটির শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং ওজনেও কম ছিলো।
যার ফলে শিশুটির জরুরী ভিত্তিতে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়ে পড়ে।এ সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাটি জানতে পেরে গাজীপুর সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার’কে শিশুটির ও বিপুলার প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে শিশু বাচ্চাটির অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় ঐদিনই স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত শিন শিন জাপান হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।প্রতিদিন শিশু বাচ্চাটি ও তার মায়ের খোজ খবর রাখেন মানবিক এই পুলিশ কমিশনার।
শুধুমাত্র তাই নয়, চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করেন তিনি।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সার্বিক প্রচেষ্টায় গত ০২ জুলাই চিকিৎসা শেষে শিশু বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে তার মায়ের সাথে বাড়ীতে ফিরে আসেন। পুলিশ কমিশনারের এমন মানবতা সকলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।