বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক মো. লুৎফর রহমান সোহাগকে আজ দুপুরে হাসপাতাল গেট থেকে ইয়াবাসহ আটক করেছে বেতাগী থানা পুলিশ। সোহাগ বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা নমুনা পরিবহন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। বেতাগী থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এএসআই সাইফুল বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লুৎফর রহমান সোহাগ দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় তার সাথে থাকা ম্যানিব্যাগটি পড়ে গেলে এএসআই সাইফুল সেটি উদ্ধার করে। এসময় তার ম্যানিব্যাগ তল্লাশি করে ভিতরে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এরপর লুৎফর রহমানকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, আজ সকাল ১১ টার দিকে ইয়াবা বিক্রীর প্রস্তুতি নেয় লুৎফর রহমান। এসময় সংবাদ পেয়ে এএসআই সাইফুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তাকে হাতেনাতে ধরলে লুৎফর এএসআই সাইফুলের সাথে বিষয়টি দফারফার চেষ্টা করে। এএসআই সাইফুল তাৎক্ষণিক লুৎফরকে থানায় না নিয়ে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থান করেন। বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে ঘটনাটি। পরে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে দুপুর আড়াইটায় ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস হোসেন ২পিস ইয়াবা সহ লুৎফুর রহমান সোহাগকে আটক করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, ইতোপূর্বে সোহাগ মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন।পরবর্তীতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাকুরীতে পূর্ণবহাল হয়। সোহাগ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা করে নিয়মিত পুলিশকে অনুদান দিয়ে আসছে। আজ আটকের পূর্বে প্যাকেটে ইয়াবা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন তিনি। ক্রেতা দেরী করে আসায় ধরা পরে। পুলিশের সহযোগীতায় ২পিস ইয়াবা রেখে বাকী সব গায়েব করা হয়।
তবে টাকার বিনিময়ে ধামাপাচা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, একরকম কোন সংবাদ আমার কাছে নেই। আমি যখন খবর পাই তখন পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে তাকে মাদকসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।