বরিশালের উজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, মোটর সাইকেল ভাংচুর, স্কুল ও হাসপাতালে হামলা, আহত ০৪ জন। আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মিরাজ ফরাজী(৪২) এর সাথে একই এলাকার আওয়ামীলীগের সদস্য নাসির ফরাজী(৪৫) এর সাথে কিছুদিন পর্যন্ত মোবাইলের ফেইজবুকে মিরাজ ফরাজীকে নিয়ে নাসির ফরাজী বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য তুলে ধরা নিয়ে ৩ জুলাই মিরাজ নাসিরের উপর হামলা চালায়।
ঘটনায় নাসির ফরাজী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ৫ জুলাই বামরাইল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান কবিরের নেতৃত্বে বামরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সকাল ১০টায় বিরোধ মিমাংশার জন্য বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালীন ২ গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এতে নাসির ফরাজী ও বসার ফরাজী আহত হয়। অপর পক্ষের মিরাজ ফরাজী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। নাসির ফরাজী উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ব্যাপারে নাসির ফরাজী জানান শালিশী বৈঠকের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে মিরাজ ফরাজীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে শাকিল হাওলাদারের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে তাদের আহত করে। থানায় অভিযোগ দিয়েও চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে।
তাদের উপর হামলা চালিয়েছে মিরাজ ফরাজী, শাওন বালী, রিয়াদ ফরাজী, সজিব শরীফ সহ অনেকেই। এদিকে মিরাজ ফরাজী জানান নাসির ফরাজী ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে ফেইজবুকে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায় শালিশী বৈঠকের সময় শাকিল জুনায়েত সহ ১০/১৫ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। নাসির ফরাজীর লোকজন হাসপাতালে লাঠীসোটা নিয়ে হামলা চালাতে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা শওকত আলী তাদেরকে তারা করে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বামরাইল এবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ জানান শালিশী বৈঠকে কে বা কাহারা বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা মনিটর আলমিরা ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান ঘটনা সুনে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।