1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

রাজাপুরের বিষখালি নদীতে ধরা পড়ছে বড় আকারের সুস্বাদু ইলিশ, হাজার টাকা কেজি!

  • সময় : রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০
  • ১৫৯


ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালি নদীতে মৌসুমের শুরুতেই ধরা পড়ছে বড় আকারের ইলিশ। তবে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম বেশি। রোববার জেলে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা এ তথ্য জানা গেছে। বড় আকারের মাছ জালে পাওয়ায় জেলেরাও বেশি আগ্রহ নিয়ে নদীতে যাচ্ছে মাছ শিকারে। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেড় কেজি আকারের ইলিশ খুচরা বিক্রি হচ্ছে পুরো দেড় হাজার টাকায়। ওজন আধা কেজির একটু বেশি হলেই তার দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

আর এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম গুনতে হচ্ছে হাজার টাকার বেশি। রাজাপুর উপজেলার মানকি সুন্দর গ্রামের বিশখালি পাড়ের জেলে নজর আলী বলেন, ঝালকাঠির মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের এবং বেশি ইলিশ পাওয়া যায় বিশখালি নদীর সাগর মোহনায়।

এবার মৌসুমের শুরুতে চাহিদার তুলনায় কম ধরা পড়ছে। এ কারণে ভোলা ও বরিশাল থেকেও ঝালকাঠিতে ইলিশ আসছে। তবে ভোল-বরিশালের ইলিশ নোনা হওয়ায় ঝালকাঠির ইলিশের দাম বেশি। তবে বিষখালি নদীর মিষ্টি পানির ইলিশ বেশি সুস্বাদু, তাই চাহিদাও বেশি। মাছ বিক্রেতা মধু জানান, তারা প্রধানত সুগন্ধা ও বিষখালিতে নদীতে মাছ ধরেন। কিন্তু এখন আগের মত বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই মাছের সরবরাহ কম। আর সে কারাণে দাম একটু বেশি।

পূর্ব চাঁদকাঠি বাজার ছাড়াও নদী থেকে সদ্য ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হয় জেলার রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বাজারগুলোয়। এসব উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা ও বিশখালি নদী। দুই নদীতেই ১২ মাস ইলিশ ধরা পড়ে। সুগন্ধা পাড়ের জেলেপাড়ার মাছ বিক্রেতা কানাই লাল মালো বলেন, ভোলা ও বরিশাল সাগরের কাছে হওয়ায় ওসব জেলার ইলিশ লবণাক্ত স্বাদের। “ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালি নদী সমুদ্র থেকে অনেক দূরে। তাই এখাকার নদীর পানি মিঠা স্বাদের। তাই এখানকার মাছও সুস্বাদু। তাছাড়া নদীপারে কল-কারখানা না থাকায় এ নদীগুলোর ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি।

রাজাপুরের বাদুরতলা, নাপিতের হাট ও বড়ইয়ার পালট গ্রামে তাজা ও বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যায়। তবে তুলনামূলক মাছ কম পাওয়ায় স্থানীয় ইলিশে চাহিদা মেটে না বলে ভোলা ও বরিশাল থেকে মাছ আসে ঝালকাঠিতে। ঝালকাঠি জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, গত বছর ঝালকাঠিতে এক হাজার ৫৮ মেট্রিকটন ইলিশ ধরা পড়ে। এটা যথেষ্ট নয় বলে অন্য জেলার মাছও আসে। বর্তমানেও তুলনামূলক কম মাছ শিকার হচ্ছে।

নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার না হওয়ায় এখন যা ধরা পড়ছে তার আকার অনেকটা বড়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪