যুগ যুগ ধরেই মাওয়া ঘাটের ইলিশের চাহিদা সর্বত্র। দেশের বিভিন্নঅঞ্চল থেকে এখানে ইলিশ খেতে আসেন ভোজন রসিকরা। এই বিশাল চাহিদা পূরণেমাওয়া ঘাটের পাড়ে গড়ে ওঠেছে ছোট-বড় হোটেল। রয়েছে মৌসুমি ফলসহ অন্যান্য পণ্যেরবিশাল সমারোহের দোকান।এছাড়াও রয়েছে খণ্ড-খণ্ড মাছের বাজার।এ মাছের বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে পদ্মা নদীর তাজা ইলিশ সহ ছোট-বড় মাছ। চাহিদাও ব্যাপক।ঢাকারখুব কাছে হওয়ার কারনে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন পদ্মা ঘাট থেকে আর দুপুরে পদ্মাঘাটে বসে ধোয়া ওঠা গরম ভাতের সাথে পদ্মার ভাজা ইলিশ দিয়ে ভুড়ি ভোজ করুন।চাইলে স্পীডবোটে করে ওপার যেতে পারেন।ওখানেও ভালো কিছু খাবার হোটেলহয়েছে। সন্ধ্যার পরে ফেরিতে ফিরতে পারেন। ফেরির তিন তলা থেকে রাতের পদ্মাঅপার্থিব লাগবে।
দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত নদীতে থাকবে সূর্যের রূপালী ঝিলিক। মৃদু বাতাসেনদীর জলে ছোট ছোট রূপালী ঢেউ ঝলকে দেয় চোখ। পদ্মায় ভেসে ঘোরার মতো মাঝি ওনৌকা দুর্লভ। এপার হতে ওপারে যাওয়ার জন্য আছে লঞ্চ আর স্পীড-বোট। ফেরীতেওপারাপার হতে পারেন। স্পীড বোটে এপার হতে ওপারে যেতে ২০-২৫ মিনিটের মতো লাগে; ভাড়া ১৫০ টাকা। যারা একটু ভীতু এবং সাঁতার জানেন না, তাদের স্পীড-বোটে না চড়াইভালো। দ্রুতগতির এই স্পীড-বোট পদ্মার বুকে অনেক সময় লাফিয়ে লাফিয়ে চলে যারোমাঞ্চকর এবং মজাদার বটে, কিন্তু ভয় পেলে তাতে না চড়াই ভালো। লঞ্চ পারাপারে সময়একটু বেশী লাগে, আশেপাশের প্রকৃতিও দেখা যায় বেশী। ভাড়া ৩০ টাকা (লোকাল) এবং৪০ টাকা (ডাইরেক্ট)।
যদি জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে খেতে চান তবে আপনাকে অন্তত এক দিনেরজন্য সকালের কাঁচা ঘুম ত্যাগ করে মাওয়া পৌঁছাতে হবে সকাল ৯ তার মধ্যে।আর শুধুইলিশ খেয়ে চলে আসা নেহায়েত বোকামি হবে যদি নদীর পাড়ে বসে পদ্মার বিশাল জলেরএকটু উন্মাদনা না দেখেন। তার জন্য বেস্ট প্ল্যান হবে, মাওয়া ঘাট থেকে জন প্রতি ২৫/= টাকা করে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সায় লোহজং যেতে পারেন। সম্পূর্ণ অটো রিক্সায়রিজার্ভ নিলে ১৫০/= টাকা নিবে। সেখান থেকে নৌকায় যাবেন পদ্মা রিসোর্ট। রিসোর্ট ওদেখা হবে নৌকা ভ্রমণ ও হয়ে যাবে। ইচ্ছা করলে সারা দিন অথবা রাত দিন থাকার ব্যবস্থাআছে রিসোর্ট এ। না থাকতে চাইলেও অসুবিধা নেই শুধু এক্সট্রা ৫০ টাকা দিলেই ঘুরে দেখাযাবে সম্পূর্ণ রিসোর্ট। খরচঃ
যাতায়াত (৭০+২০)*২=১৮০ টাকা। ইলিশ ভাজা ভাত ১০০ টাকা। মোট=২৮০ টাকা।
মাওয়া ঘাট যাওয়ার উপায়
সকালে গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী থেকে বাস এ মাওয়া ঘাটে চলে যাবেন। ভাড়া ৭০/- বি আরটি সি/ইলিশ পরিবহন। মিরপুর ১০, ফার্মগেট , শাহবাগ থেকে যেতে পারেন স্বাধীন পরিবহনএ। গুলিস্তান থেকে বি আর টি সি এসি পাবেন। ঘন্টা খানেকের একটু বেশি সময় লাগতেপারে ঘাট এ পৌছাতে। চাইলে পদ্মা পারি দিতে পারেন লঞ্চ, ফেরি কিম্বা স্পীডবোটে। ভাড়াপড়বে ৩৫/২০/১৫০ টাকা যথাক্রমে। সময় লাগতে পারে ২ ঘন্টা, ১:৩০ ঘন্টা অথবা ৩০মিনিট যথাক্রমে।
কোথায় খাবেন
পদ্মার ওপাড়ে কাওড়াকান্দি ঘাটে হোটেলগুলোতে ইলিশ আর গরম ভাত দিয়া ভুড়ি ভোজকরতে পারেন। তবে খাবার আগে ইলিশ এর ফেনা ওঠা গরম তেল আর শুকনা মড়িচ দিয়াভাত মাখিয়ে নিতে ভুলবেন না। মনে হবে আহ লাইফ ইস বিঊটিফুল। ইলিশ ভাজা ৭০/- থেকে ৯০/- সাইজ ভেদে, ভাত ১০/- শুকনা মড়িচ ফ্রি। তৃপ্তির ঢেকুড় তুলে আবার একইরাস্তায় ফেরত আসবেন ঢাকায়।