ইকরামুল হাসান –
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতিটি সন্তানের জীবনে মায়ের মতোই বাবার ভূমিকাও অপরিসীম। যিনি নীরবে-নিভৃতে সারাজীবন কাজ করে যান শুধু সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে। মা যতটা আবেগে ভরপুর, বাবা ঠিক ততটাই বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি—তাঁর ভালোবাসা নিঃশব্দ, কিন্তু পাহাড়সম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাবার সামাজিক অবদান প্রায়ই আমাদের মানব জীবনের পর্দার আড়ালে থেকে যায়। তবে সমাজে তাঁদের ত্যাগ,ভূমিকা এবং দায়বদ্ধতা কোনভাবেই উপেক্ষা করার নয়।
টাঙ্গাইলের রিকশাচালক জব্বার মিয়া প্রতিদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে বড় ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন—তাঁর ভাষায়, “ছেলে মানুষের মত মানুষ হোক, এতেই আমার শান্তি।”
চট্টগ্রামের ইটভাটার শ্রমিক হেলাল উদ্দিন নিজের প্রয়োজন ভুলে মেয়েকে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য ধার-দেনায় পড়েছেন।
আর পিরোজপুরের স্কুলশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ নিজের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে ছেলেমেয়ের শিক্ষার পেছনে জীবনের সবটুকু ব্যয় করেছেন।
এতক্ষণ যাদের কথা বললাম সেই সকল বাবারাই আমাদের সমাজের নীরব নায়ক। তাঁদের গল্পগুলো হয়তো পত্রিকার প্রথম পাতায় আসে না, কিন্তু প্রতিটি সন্তানের হৃদয়ে তাঁরা একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
বাবারা কখনোই সুপারহিরোদের মতো উড়তে পারেন না, কিন্তু তাঁরা মাটি ছুঁয়ে থেকেই আকাশ ছুঁয়ে দেন সন্তানদের ভবিষ্যৎ। আজকের এই দিনে আসুন, তাঁদের প্রতি জানাই অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা—শুধু একটি বাক্যে: “বাবা, তুমি আছো বলেই জীবন এত সুন্দর।”