1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

আলফাডাঙ্গায় এখনও অধরা সশস্ত্র মিছিলকারী স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ নেতা এনামুল,তরিকুল, টিটো

  • সময় : বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৮৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: মব তৈরি করে একাধিক যুবদল নেতাকে লাঞ্চিত এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা রয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদেরকে আটক কিংবা অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি। তবে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ইনামুল হাসান, তারিকুল ইসলাম ও কাউসার হোসেন টিটোসহ যারা নেতৃত্ব দিয়ে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে হত্যা ও লাশগুমের মতো হুমকি দিলো পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যা খুবই হতাশাজনক। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা বলেছে— আলফাডাঙ্গায় আমাদের রাজনীতি করতে দিবে না। তারা হেলমেট পরে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিয়ে গেল। কিন্তু ঘটনার একদিন চলে গেলেও প্রধান অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি তারা যেসব অস্ত্র প্রদর্শন করল সেগুলোও উদ্ধার হয়নি।

তবে পুলিশের দাবি, প্রধান আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। দোষী সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা শাহেদ ও ঐশিককে শায়েস্তার সুযোগ খুঁজছিলো ফরিদপুর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান সহ তার অনুসারীরা। কারণ, স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় হিসেবে দলের জন্য কাজ করছিলেন শাহেদ ও ঐশিক। যা কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না ইনামুল গং’রা।

সোমবার কোনো কারণ ছাড়া স্থানীয় কাঞ্চন একাডেমির সামনে চায়ের দোকানে তারা মব সৃষ্টির করে যুবদলের দুইনেতাকে লাঞ্চিত করে। পরবর্তীতে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইনামুল হাসানসহ প্রায় শতাধিক ক্যাডার যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে যায়। শাহেদ ও ঐশিককে বাড়িতে না পেয়ে তাদের স্বজনদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা রিবন খানের বাড়ি গিয়ে একইভাবে হুমকি দেয় সশস্ত্র দলটি। এসময় তিনজনকে কোথাও পাওয়া গেলে হত্যা করে মরদেহ স্থানীয় নদীতে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে হুমকির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেন গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ও তার ভাই মাহবুব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম মেম্বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার হোসেন টিটোসহ শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার অভিযোগে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা রয়েছে। আর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম মেম্বারের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর এবং ঢাকার ভাটারা থানা হত্যা মামলা রয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নৃশংস কমকাণ্ডের অভিযোগে ১২ মার্চ ভাটারা থানায়টি হয়; যাতে এজাহার নামীয় ৯৬ নম্বর আসামি তারিকুল মেম্বার।

কামারগ্রাম ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহেদ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছি। কারণ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইনামুল, তারিকুল ও টিটো যেভাবে বাড়িতে বাড়িতে আমাদের খুঁজেছে তাতে যেকোনো সময় বড় ধরণের ক্ষতি করবে। যুবদলের রাজনীতি করায় তাদের প্রতিপক্ষ হয়েছি আমরা।’

প্রধান অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে যুবদলের এই নেতা বলেন, গতরাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান অভিযুক্তরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’

আলফাডাঙ্গা পৌর যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘হুমকির পর থেকে ভুক্তভোগীদের পুরো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। যেভাবে ইমানুল হুমকি দিয়ে এসেছে তাতে মনে হয়েছে একটা ক্ষতি করেই ছাড়বে। আওয়ামী দোসরদের কারণে মনে হচ্ছে আমরা এখনও রাজনীতি করতে পারব না। আর থানা পুলিশও অভিযুক্তদের ধরছে না। তারা অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম জানিয়েছেন, অভিযানে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।

মধুখালী সার্কেলের এএসপি ইমরুল হাসান বলেন, ‘সাঁড়াশি অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভিডিওটি আমার নজরে এসেছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪