1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলে ১ বছরে কমেছে সরিষা চাষ

  • সময় : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৬

মোঃ শামসুর রহমান তালুকদার –

চলতি রবি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলায় ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে আবাদ হয়েছে ৮০ হাজার ৮৪৪ হেক্টর জমিতে। এতে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় সরিষা আবাদ হয়েছিল ৮১ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে। এ থেকে উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৮ হাজার ২৮৫ টন। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ৬৯৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, জেলায় ২ লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। ১২টি উপজেলায়ই সরিষার আবাদ হয়। তবে সদর উপজেলা, মির্জাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল, বাসাইল, দেলদুয়ার ও নাগরপুর অঞ্চলে  আবাদ বেশি হয়। এ বছর আবাদ কমলেও উৎপাদনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

তবে সরিষা আবাদ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, সরিষার আবাদ কমলেও বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। সরিষার চেয়ে ভুট্টার দাম বেশি। এজন্য কৃষক ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এ বছর ভুট্টার আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার ৪০০ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।

এদিকে গত বছরের চেয়ে মৌবক্সের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মধু আহরণ। চলতি বছর জেলায় ১২ হাজার ৩৩৬টি মৌবক্স স্থাপন হয়েছে। মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার কেজি। গত বছর ১০ হাজার ৯৫০টি মৌবক্স থেকে মধু উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ কেজি।

দেলদুয়ার উপজেলার পশ্চিম পাড়া গ্রামের চাষী কাজি মিয়া বলেন, ‘সরিষা চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৬-৭ হাজার টাকা। চাষের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। গত বছর সরিষা বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এবার তেলের দাম অনেক বেমি। সে অনুযায়ী আশা করছি ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করতে পারব।’

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরিষা চাষে জমির উবর্রতা বাড়ে। প্রতি বিঘা জমি থেকে চলতি মৌসুমে গড়ে চার-পাঁচ মণ সরিষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বীজ বপনের পর ৮০-৮৫ দিনে ফসলটিতে তেমন সেচ দিতে হয় না। বপনের সময় মাটির নিচে সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার দিলেই চলে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে কম খরচ, কম শ্রম ও দ্রুত ফলন পাওয়া যায়। তবে ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার চাহিদা থাকলেও চলতি বছর চাষের জমি কমেছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন বণিক বাংলাদেশ বুলেটিকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার উচ্চ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবার সরিষা চাষে জমি কিছুটা কমেছে। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ টন সরিষা উৎপাদন হতে পারে। এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। প্রতি কৃষককে এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের এক কেজি করে সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডিওপি, ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪