শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)দিবস উদযাপিত হয়েছে।আজ বুধবার সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন,জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় \ প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’।এদিকে সকাল ১১টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার সমাপনী বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য বলেন,এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এমন এক সময় উদ্যাপিত হচ্ছে যখন ‘মুজিববর্ষ’ চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্যাপনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।তিনি বলেন,কিন্তু ‘কোভিড ১৯’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই মাহেন্দ্রক্ষণকে আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপন করতে পারছি না। এই দু:সহ অবস্থা কেটে যাবে এবং অদূরভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আনন্দঘন ও বর্ণাঢ্যভাবে সকল উৎসব উদ্যাপন করব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,জাতীয় চার নেতা,ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন,মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎবরণকারী,বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং করোনা মহামারীতে চিকিৎসক, নার্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার জনাব প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ,প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ,সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী,সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রমুখ।১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।