আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন পাশাপাশি আহত হয়েছে অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, রবিবার (২৬ মে) স্থানীয় সময় রাত আটটা ৪৫ মিনিটে অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, পশ্চিম রাফাহের তেল আল-সুলতান পাড়ায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৫ জন নিহত এবং আরো ডজন খানেক আহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে শহরের পূর্বাঞ্চল থেকে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে রাফায় স্থল আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
হামলার কারণে শরণার্থী শিবিরে আগুন ধরে যায়। পরে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স ৪৫ মিনিট পরে তা নিভিয়ে ফেলে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) এর উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াফা বার্তা সংস্থা বলেছে, নিহত অনেকেই তাঁবুর ভিতরে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান বাহিনী রাফাহ শহরে হামাসের একটি কম্পাউন্ডে আঘাত করেছে এবং হামলাটি হামাসের গোলাবারুদ লক্ষ্য করে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিচালনা করা হয়েছে। তবে হামলায় হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহতের দাবি করেছে আইডিএফ।
আইডিএফের প্রতিবেদন এটাই ইঙ্গিত করে যে, হামলা এবং আগুনের ঘটনার কারণে ওই এলাকার বেশ কিছু বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ইসরায়েলকে রাফাহ অঞ্চলে আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। তারপরও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, অভিযান শুরুর পর থেকে আট লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহ থেকে পালিয়েছে।আর গাজা যুদ্ধের সময় সেখানে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।