1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন

ফাইজার-বায়োএনটেকের বিরোধ মামলায় মডার্নার জয়

  • সময় : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
  • ১৯৮

ডেস্ক আন্তর্জাতিক

ফাইজার ও বায়োএনটেকের সঙ্গে কভিড-১৯ টিকা নিয়ে চলমান বিরোধে মডার্নার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস (ইপিও)। এমআরএনএ-ভ্যাকসিন পেটেন্টধারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছ থেকে মুনাফার অংশ পেতে এ রায় মার্কিন কোম্পানিটিকে সাহায্য করবে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে দেয়া রায়ে ইপিও দুটি বিতর্কিত পেটেন্টের মধ্যে একটির বৈধতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এতে ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের অতিবিক্রীত টিকা নিয়ে বিপত্তিতে পড়ল।

এ বিষয়ে মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস মডার্নার ইপি৯৪৯ পেটেন্টের বৈধতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আদালতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে দাবি করা মূল পেটেন্ট নিয়ে অভিযোগগুলোর একটি।’

ইপিওর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য নয় মাস সময় দেয়া হয়েছে। ফাইজার সে প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিলেও বায়োএনটেক কোনো মন্তব্য করেনি। ১৬ মে মৌখিক রায় দেয়া হয়েছে, যা জুন নাগাদ লিখিতভাবে প্রকাশ হতে পারে।

এর আগে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালতে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন থেকে মুনাফার অংশ পেতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের বিরুদ্ধে মামলা করে মডার্না। কোম্পানিটি বলেছে যে, ভ্যাকসিন কোম্পানি দুটি তাদের পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে।

পেটেন্ট নিয়ে কোম্পানিগুলোর বিরোধ বেশ পুরনো। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মডার্নার পেটেন্ট অবৈধ উল্লেখ করে মামলা করে ফাইজার ও বায়োএনটেক। কিন্তু দুবারই অভিযোগ অবৈধ হিসেবে খারিজ হয়ে যায়।

মামলায় চূড়ান্তভাবে জিতলে কভিড টিকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যবসায় মডার্নার হিস্যা রাতারাতি বেড়ে যাবে। শুধু ২০২২ সালে এ কোম্পানিগুলো টিকা বিক্রি করে ৭ হাজার ৩২০ কোটি ডলার আয় করেছে। তবে মহামারী স্তিমিত হয়ে এলে ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে যাওয়ায় তিনটি ফার্মা গ্রুপের শেয়ারের দাম পড়ে যায়।

মডার্নার আওতায় থাকা ৯৪৯ পেটেন্টটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এমআরএনএর প্রতিক্রিয়া সঙ্গে সম্পর্কিত। মডার্নার এ আবিষ্কার শুধু কভিড-টিকার মধ্যেই সীমিত নয়, বরং একই বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের এমআরএনএ-ভিত্তিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ হিসেবে পেটেন্টটি সামনেও লাভজনক থাকছে। ইপিও জানিয়েছে, মডার্নার ৯৪৯ পেটেন্ট সংশোধিত আকারে বজায় রাখা হয়েছে।

গত বছর একটি বিকল্প পেটেন্টের জন্য গেলে ইপিওর কাছে বৈধতা পায় মডার্না, যা ৫৬৫ নামে পরিচিত। এটি করোনাভাইরাস ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে এমআরএনএ-ভিত্তিক আরেকটি প্রযুক্তি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছে মডার্না।

অবশ্য ইপিওর রায়ে পেটেন্টের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সীমিত নয়। একাধিক দেশের আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে মডার্না। আদালতগুলো পেটেন্টের বৈধতা এবং ফাইজার ও বায়োএনটেক তা লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে রায় দিতে থাকবে। জরিমানার বিষয়েও আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪