টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ মানুষের জনজীবন। এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তার কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে টাঙ্গাইলের স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং এর ফলে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
টাংগাইল শহরের বাসিন্দা ব্যাবসায়ী সাইদুর রহমান সজীব বলেন, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই! তার ওপর শুধু রাতেই ৩-৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কোনো কোনোদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে গরমে আমার পরিবারের কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। আমার আড়াই বছরের ছোট বাচ্চাকে নিয়েও বিপাকে আছি। কেননা, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘেমে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। একই সমস্যায় প্রায় সব পরিবার।
এডভোকেট সালাম চাকলাদার বলেন, ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যেমন-তেমন কিন্তু, রাতে লোডশেডিং বন্ধ রাখা গেলে মানুষজন শান্তিতে অন্তত ঘুমাতে পারবে।
শিক্ষিকা মর্জিনা খানম বলেন, প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন।
অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম বলেন, জেলা শহরে একটু লোডশেডিং কম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামগুলোতে আগের তুলনায় লোডশেডিং বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ সাহগীর হোসেন জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ৩-৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় কিছুটা লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা সত্ত্বেও একটু লোডশেডিং বেশি হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সকাল-বিকেলের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। তাই সেসময় তুলনামূলক একটু লোডশেডিং বেশি দিতে হচ্ছে। তবে সমাধানে যথাসম্ভব চেষ্টা চলছে।