টাঙ্গাইল প্রতিনিধি –
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের একই স্থানে একই সময়ে ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে অপ্রীতিকর, অস্থিতিশীল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি স্থানীয় জেলা প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার(১৮/০৪/২০২৪)জেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষ, সচেতন নাগরিক সমাজ অন্যদিকে আরেক পক্ষ জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে একই সময় সমাবেশের আহ্বান করায় শহরে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও দুই গ্রুপের কাউকেই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশ স্থলে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ফলে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ যথাক্রমে পৌরসভার সামনে ও থানা পাড়া ‘রবি’ অফিস মোড়ে এবং পূর্ব আদালত পাড়া মোড়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত করে সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে ও শহরের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এছাড়া এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের ভ্রাম্যমান টহল দল শহরময় প্রদক্ষিণ করে। সকালে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ টাঙ্গাইল পৌর ভবনের সামনে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, টাঙ্গাইল শহরের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার গণমাধ্যমকে জানান, দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় কোন পক্ষকেই সমাবেশ না করতে দেয়ার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একটি অংশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দলের শহর শাখা থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ‘টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে এই সমাবেশের আহ্বান করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন টাঙ্গাইল পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
অপর পক্ষ “জেলা শ্রমিক ফেডারেশন” এর ব্যানারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে একই দিন একই সময় শ্রমিক সমাবেশের আহ্বান করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির এমপি ও ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ওরফে আমিন প্রমুখ।