চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে তিনি ঢাকায় নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে।
১ জুলাই, বুধবার সকালে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতাল সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে মেয়র শেখ সেলিম শারিরীকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে ২৬ জুন, শুক্রবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মনজুর আহমদ গালীব জানান, কয়েকদিন ধরে পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী জ্বর,সর্দি সহ নানান রোগ অনুভব করছিলেন।
২৬ জুন ঢাকায় আনার পর ২৭ জুন শনিবার মেয়রের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং আজ ১ জুলাই বুধবার সকালে প্রাপ্ত তাঁর কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্টে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
মেয়র শেখ সেলিমের পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতা ছড়িয়ে পরার পর থেকে মেয়র স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৌরসভার নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহন সহ পৌর এলাকায় জনগনের কাঁছে ত্রান কার্যক্রমে অংশগ্রহন করলেও কখন কিভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়ে পড়ল তা নিশ্চিত নয়। মেয়র বর্তমানে ঢাকায় নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন। এ ছাড়া তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এবং তিনি বাঁশখালীসহ সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য: কোভিড-১৯ সংক্রমনের রেড জোন বাঁশখালীতে ইতিমধ্যে মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চেীধুরী ও তাঁর পরিবারের ১০ সদস্যসহ, এসিল্যান্ড, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৭ জন চিকিৎসক, বেশ কয়েকজন নার্স-স্টাফ, সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা, বাঁশখালী থানার প্রায় দেড় ডজন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য এবং শতাধিক সাধারন নাগরিক করোনা শনাক্ত হলেও রেডজোন বাঁশখালীতে লকডাউন ঘোষনা করা হয়নি, জনগনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সচেতনতা যেমন নেই তেমনি প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতাও পরিলক্ষিত হয়না।