বিনোদন রিপোর্টার-
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বর্তমানে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। প্রকৃত শিল্পীরা সদস্য পদ না পেলেও বিতর্কিত নারী হেলেনা জাহাঙ্গীর পেয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য পদ।
দুঃস্থ শিল্পীদের নিজের গার্মেন্টসে চাকুরি দেবেন তার এমন অফারে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুন তাকে সদস্য পদ দিয়েছেন এমন কথা এফডিসির অভ্যন্তরে চাউর হয়ে শোনা যাচ্ছে। শিল্পী না হয়েও বিতর্কিত নারী হেলেনা জাহাঙ্গীর শিল্পী সমিতির সদস্য পদ পাওয়াতে ক্ষোভে পুষছেন শিল্পীরা।
প্রায় এক ডজন সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত শিল্পী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার পরেও সদস্য পদ না পাওয়াতে অভিনেত্রী রুবিনা আলমগীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদনের কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি লিখেছেন –৮টি সিনেমায় ৯ টি গানে আইটেম গার্ল ছিলাম, এর বাইরে বেশ কিছু সিনেমায় সহ-নৃত্য পরিচালক হয়ে কাজ করেছি।
নৃত্য পরিচালক “সাইফুল ইসলাম” “এ কে আজাদ ও মুসলিমের সঙ্গে সহযোগী নৃত্য পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছি। এছাড়া আমি নৃত্য পরিচালক সমিতির সদস্য। ২৩ টি সিনেমায় ২৫ টি গানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও কাজ করেছি। ছোটবেলা থেকেই অভিনয় আমার নেশা, ভালোবাসা আর অভিনয়ই পেশা এবং এখনও প্রাণের জায়গা।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সিনেমার কাজ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছি, অথচ শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারলাম না। উল্টা এত ফরমালিটি দেখানো হলো, মনে হলো টাকা দিয়ে প্যারা কিনতে হবে, আমি টেলিভিশন নাটকে কাজ শুরু করেছি পরে। অথচ আমি সম্মানের সহিত টেলিভিশন অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য হয়েছি। সবচেয়ে বড় বিষয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পীও হয়েছি। শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারবোনা বা হওয়া অসম্ভব ছিলো তা কিন্তু নয়, আমার যে পরিচিতি ছিলোনা, তাও নয় বা আমাকে এক দুজন চিনে না, তাও নয়, আমাকে যে ফরমালিটি বা নিয়ম দেখিয়েছিলো আমি সেই নিয়ম নীতিকে বিশ্বাস করেছি তাই সম্মান দেখিয়েছি। সংবিধানের নিয়মে আমি রাইটলি ফুল মেম্বারশিপ পাওয়ার অধিকার রাখি। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে- রাইটলি কাজ করার পরেও শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারলাম না। কারণ আমি ভাইরাল নই, বিশেষ পাওয়ার বা কোটা নেই, বিশেষ অনুরোধ নেই। এসব থাকলে কাজ না করেও বা একটি কাজ করেও সদস্য হওয়া যায়। যাদের লোক আছে তাদের জন্য নিয়ম কোনো বিষয় নয়, এর মানে কাজ বড় বিষয় নয়। পাওয়ার থাকলেই হবে। এক্ষেত্রে শিল্পীস্বত্তা মূল্যহীন। কোনো ছবিতে কাজ না করেও শিল্পী সমিতির সদস্য পদ পাওয়া গেলে শিল্পীরা কাজ করবে কেন?
দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে রুবিনা আলমগীর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হলো-ইফতেখার চৌধুরীর “রাজত্ব” তুহিন তোফাজ্জলের “কবি”, আমিনুল ইসলাম বাচ্চুর “ফুলজান”,জাহিদ হোসেনের ” আজান”, কাজী মোঃ ইসলাম মিয়ার “আমার শেষ কথা”, শফিকুল আলমের “সু-স্বাগতম”, টিপু সুলতানের “পাহাড়ী মেয়ে”, এ কে আজাদের ” বাজি”।