1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার কন্যা সন্তানের মৃত্যু

  • সময় : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫৬

স্টাফ রিপোর্টার-

২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান মা। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা। দুই কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবাও আর বিয়ে করেননি। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন হঠাৎ থমকে গেলো। রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন লামিশাও।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্বজন-সহপাঠীদের মধ্যে। বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে বিহ্বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সহকর্মীদের অনেকেই।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রমনার পুলিশ কমপ্লেক্সে। কন্যাদের মানুষের মতো মানুষ করতে মায়ের ভূমিকা পালন করতেন বাবা। স্বপ্ন ছিল কন্যাদ্বয় বাবাকে ছাড়িয়ে যাবেন পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। বড় মেয়ে সেই পথেই হাঁটছিলেন। বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সর্বনাশা আগুন মুহূর্তেই কেড়ে নিলো লামিশার প্রাণ।

শোকে বিহ্বল বাবার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী জানান, লামিশা বাসার পাশেই ওই ভবনের কোনও একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর তিনি দৌড়ে ছাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠতে পারেননি। নিঃশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গিয়ে শ্বাসনালী পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারিও রমনা কমপ্লেক্সের শিমুল ভবনের লিফটে লামিশার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন বুঝতে পারিনি মৃত্যু তার এত কাছাকাছি।

স্বজনরা জানান, হলিক্রস কলেজ থেকে পাস করে বুয়েটের কেমিকৌশল ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী লামিশার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। বুয়েটের বন্ধু নাহিয়ান আমিনের সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। আগুনে দুজনই মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনজুড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কিছু। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোডের আগুনে এক পুলিশ কর্মকর্তার কন্যা সন্তানের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার-

২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান মা। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা। দুই কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবাও আর বিয়ে করেননি। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন হঠাৎ থমকে গেলো। রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন লামিশাও।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্বজন-সহপাঠীদের মধ্যে। বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে বিহ্বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সহকর্মীদের অনেকেই।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রমনার পুলিশ কমপ্লেক্সে। কন্যাদের মানুষের মতো মানুষ করতে মায়ের ভূমিকা পালন করতেন বাবা। স্বপ্ন ছিল কন্যাদ্বয় বাবাকে ছাড়িয়ে যাবেন পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। বড় মেয়ে সেই পথেই হাঁটছিলেন। বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সর্বনাশা আগুন মুহূর্তেই কেড়ে নিলো লামিশার প্রাণ।

শোকে বিহ্বল বাবার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী জানান, লামিশা বাসার পাশেই ওই ভবনের কোনও একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর তিনি দৌড়ে ছাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠতে পারেননি। নিঃশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গিয়ে শ্বাসনালী পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারিও রমনা কমপ্লেক্সের শিমুল ভবনের লিফটে লামিশার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন বুঝতে পারিনি মৃত্যু তার এত কাছাকাছি।

স্বজনরা জানান, হলিক্রস কলেজ থেকে পাস করে বুয়েটের কেমিকৌশল ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী লামিশার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। বুয়েটের বন্ধু নাহিয়ান আমিনের সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। আগুনে দুজনই মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনজুড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কিছু। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪