স্টাফ রিপোর্টার-
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। এতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি।
মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনাসহ ইহকালের শান্তি, পরকালের মাগফেরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা ফিরতে শুরু করেছেন। এতে সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন মুসল্লিরা। কেউ কেউ যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।
এদিকে ট্রেনে যাতায়াতকারী মুসল্লিরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। আখেরি মোনাজাত শেষে একযোগে হাজার হাজার যাত্রী টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে জমায়েত হন। কিন্তু যাত্রীদের ভিড় ঠেলে অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি।
এর আগে সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
আজ ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। এই বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব। এরপর কিছু সময়, নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কামারপাড়া সড়ক, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন মুসল্লিরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এবারের ইজতেমায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল ৭২ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আসর যৌতুকবিহীন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন এই বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর।