স্টাফ রিপোর্টার-
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফারুক হোসেন (৪০) ও তার সহযোগী কামরুল (৩৪)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গোলাগুলিতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এজহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হামলার শিকার রোকন, এমদাদ, সিয়ামসহ ৪-৫ জন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ী ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১ ঘটিকায় টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশকয়েক জন সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের উপর অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় রোকন, এমদাদ ও সিয়াম এর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
কমান্ডার মঈন বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। র্যাব এ ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং তাদের উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষেই পূর্ব থেকেই আন্তঃকোন্দল ছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং অতি উৎসাহী হয়ে তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘঠিত করেছে। গ্রেফতারকৃত ফারুক ইতিপূর্বে অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করে।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত কামরুল ফারুকের অন্যতম সহযোগী। এ ঘটনার পর সে ফারুকের সাথে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। সে ইতিপূর্বে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করে।