নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা নাশকতা-গণবিরোধী কর্মকাণ্ড করে বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে একচেটিয়া প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের সকল নাশকতা ও অপর্কম জনগণের ওপর নামিয়ে এনেছে। সেই লক্ষে এখন তারা সারাদেশে নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে।
ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা কোথাও কাউকে বাদ দিচ্ছে না। কাউকে না পেলে পরিবারের সদস্যদেরকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। যেন উৎপীড়নের ভয়ঙ্কর কাঠামো তারা তৈরি করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকার আবারও জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য নতুনভাবে গুম শুরু করেছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তরুণদের টার্গেট করে তুলে নিচ্ছে। পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে হয় বিরোধী মত দমনে কাজ করছেন। অথচ তাদের অস্ত্র, গুলি সবকিছুই জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে এবং একতরফা নির্বাচন করতেই তারা কাজ করছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের মতামতের বিশ্বাস করে না। তারাই গণতন্ত্র প্রথম হত্যা করেছে। এখন আবার নতুন কায়দায় বাকশাল কায়েম চলছে।’
রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বিএনপি মহাসমাবেশে (২৮ অক্টোবর) সারাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছে। এসব দেখে সরকার নাশকতা করে বিপুল মানুষের জমায়েতকে নস্যাৎ করার কাজে লাগিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে। এটা গোটা বিশ্বের মানুষ দেখেছে। আওয়ামী লীগ কত ভয়ঙ্কর ও সর্বনাশা দল হতে পারে দেশবাসী দেখেছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘আজকে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এতো উৎপীড়নের মধ্যেও রাজপথে নেমে এসেছে। যারা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি পালন করছে। কারণ দেশের মানুষ গণতন্ত্র বঞ্চিত, দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত। তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ ও জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।’