উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের আনোয়ারা ফার্মেসির মালিক শামিমুর রহমান (৩৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ। তিনি জানিয়েছেন, ২৯ জুন সোমবার সকালে যবিপ্রবি থেকে পাঠানো ১৪২ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে যশোর জেলার মোট ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা পজেটিভের তালিকায় শামিমুর রহমানের নামও রয়েছে।
ডা. রেহেনেওয়াজ আরো জানান, ২৬ জুন শুক্রবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে যশোর শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা আনিসুর রহমানের ছেলে শামিমুর রহমান খুলনার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরআগে শুক্রবার সকালে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাকে খুলনায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে মারা যাওয়ার পর গভীররাতে তার মৃতদেহ বাড়িতে আনা হয়। ২৭ জুন শনিবার দুপুরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা কারবালা কবরস্থানে তার মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন করে। মারা যাওয়ার ৩ দিন পর তার পরীক্ষার ফলাফল পেলাম।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শামিমুর রহমান কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। নমুনা পরীক্ষার পজেটিভ ফলাফলের কপি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।