স্টাফ রিপোর্টার-
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে। সেইসঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৯ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার।
গাজায় হামাস ও তাদের অনুজ সঙ্গী ইসলামিক জিহাদকে নির্মূল করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তাতে সাধারণ ইসরায়েলিদের সমর্থন আছে। তাদের ক্ষোভের পেছনে কারণ হলো, হামাসের আকস্মিক এক নজিরবিহীন হামলা। যাতে ১৪০০ মানুষের প্রাণ এবং একইসঙ্গে আরও ২৪০ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় গাজায়। এরপর থেকে ভীষণ চাপের মধ্যে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
যদিও তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানদের মতো গত ৭অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্তে যে মারাত্মক নিরাপত্তা বিপর্যয় ঘটেছে সেই ব্যর্থতার কোনো ব্যক্তিগত দায়ভার স্বীকার করেননি। গত ২৯ অক্টোবর নেতানিয়াহুর একটি টুইট আলোচনার ঝড় তোলে। যেখানে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেন। তবে পরে নেতানিয়াহু টুইটটি মুছে দেন ও ক্ষমা চান।
তিনজন ইসরায়েলি- যাদের একজন সাবেক শান্তি মধ্যস্ততাকারী, আরেকজন শিন বেতের (ইসরায়েলের ঘরোয়া নিরাপত্তা সংস্থা) সাবেক প্রধান এবং একজন প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। তারা ফরেন অ্যাফেয়ার্সে জার্নালে একটা নিবন্ধ লেখেন। যেখানে তারা বলেন, এই যুদ্ধ ও আগামীর দিনগুলোতে নেতানিয়াহুর কোনোভাবেই জড়িত থাকা উচিত হবে না।
নোয়াম তিবন ইসরায়েলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নেতানিয়াহুকে তুলনা করেন নেভিল চেম্বারলিনের সঙ্গে, যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১৯৪০ সালে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন এবং তার জায়গায় আসেন উইনস্টন চার্চিল।
তিবন বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটা ছিল সামরিক ব্যর্থতা, গোয়েন্দা ব্যর্থতা। এবং এটা সরকারেরও ব্যর্থতা…বিশেষ করে যিনি দায়িত্বে আছেন এবং এর সব দায়ভার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিতে হবে, তিনি প্রধানমন্ত্রী..আর তিনি ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই ব্যর্থতার মূল হোতা।