1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- আইজিপি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাপাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম- আইজিপি শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা! ক্রেতা সেজে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে আইফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ১ কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া ছিনতাই হওয়া স্বদেশ আবার ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা- ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

বিএনপি জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী এখন ঢাকায়

  • সময় : বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৫
বিএনপি জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী এখন ঢাকায়
বিএনপি জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী এখন ঢাকায়

রাকিব হাসান

মহাসমবাবেশ উপলক্ষে বিএনপি জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। হিন্দু ধর্মাম্বলী দের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা উপলক্ষে সারাদেশে পুলিশ‘কে ব্যস্তসময় পার করতে হয়েছে। আর এই সুযোগেই বিএনপি জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী ঢাকায় চলে এসেছে।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, বিএনপি‘র নেতাকর্মীরা এবার কিছু কৌশল অবলম্বন করেছেন। চেকপোষ্ট বা তল্লাশী এড়াতে তারা এবার একত্রিত না হয়ে আলাদা আলাদা যানবাহন ব্যাবহার করে ঢাকায় এসেছেন। বাস-ট্রেনসহ নানা গণপরিবহনে সাধারণ যাত্রীবেশে এখনও ঢাকায় আসছেন। ঢাকায় এসেও মেস বা হোটেলে না উঠে আত্মীয়ের বাসায় ঠায় নিয়েছেন। রাজধানীতেও সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড/ ইউনিটের নেতাকর্মীরা বাসা ছেড়ে আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধুবান্ধবের বাসায় থাকা শুরু করেছেন। এর আগে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে তারা নয়াপল্টনের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করলেও এবার এখনো ফাঁকাই আছে সেগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা এবার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে নেমেছেন। আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত তারা। যে কোনো মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কয়েক দিন ধরে দলের হাইকমান্ড, কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলাসহ মাঠ পর্যায়ের নেতারা ধারাবাহিক বৈঠক করছেন।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসছেন। বগুড়ার প্রায় ৭৫ ভাগ নেতাকর্মী রাজধানীতে চলে এসেছেন। রংপুরের বেশির ভাগ কর্মীও রাজধানীতে চলে এসেছেন। যারা ঢাকায় এসেছেন তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত পথে তেমন বাধাবিপত্তি পোহাতে হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ জেলা থেকে অন্তত ৩০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে জানা গেছে। বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও সমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। বুধবার পর্যন্ত দলটির অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে।

একাধিক সূত্র বলছে, জামায়াতের সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল এক মাস আগে থেকেই।

জানা গেছে, মহাসমাবেশে যোগ দিতে রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে অন্তত ৪০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন । পথে গ্রেফতার হতে পারে এমন আশঙ্কায় কৌশল হিসেবে তারা দলবদ্ধভাবে না গিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন।

নীলফামারীর নেতাকর্মীরাও ২০ অক্টোবর থেকে সমাবেশের উদ্দেশে ঢাকায় যাওয়া শুরু করেছেন। দিনাজপুর থেকে প্রায় ১৫ হাজার বিএনপির নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে জানান গেছে। মহাসমাবেশে গাইবান্ধা থেকে প্রায় ৮ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। এদিক থেকেও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে নেতাকর্মীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকার পথে রয়েছেন।

এদিকে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এরই মধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন। খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, নেতাকর্মীরা নিজ নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব খরচে বাসে-ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছে। মঙ্গলবার ও বুধবার অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে এবার জয়‘ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছে বিএনপি। আন্দোলন সফল করতে যেসব কর্মসূচি বা কৌশল নেওয়া প্রয়োজন, তার সবই করবে দলটি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে কঠোর কর্মসূচির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন নেতারা। ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সরকারের ভূমিকা এবং উপস্থিত জনতার মনোভাব দেখেই পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবে বিএনপি। মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হলে ৩০ কিংবা ৩১ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। আবার সচিবালয়ের কর্মসূচিতে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সেখানেই অবস্থান কর্মসূচির চিন্তা রয়েছে দলটির। একই সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকামুখী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে একযোগে চলবে আন্দোলন। নো রিটার্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ফয়সালা করতে চায় বিরোধী দলটি। মুখে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কথা বললেও বাধা দিলে বাধবে লড়াই– ভেতরে ভেতরে এমন উজ্জীবিত স্লোগান গাইছেন নেতাকর্মীরা।

অবশ্য এখন পর্যন্ত বিএনপিকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে এবার নয়াপল্টনের পরিবর্তে গোলাপবাগের মতো মূল শহরের বাইরে কোনো ভেন্যু পুলিশ প্রস্তাব করলে তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। নয়াপল্টনকেই ভেন্যু ধরে সার্বিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীও একই দিন শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন চলছে। তাহলে ভেতরে ভেতরে কি বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ রয়েছে নাকি জামায়াত বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে নিজেদের কর্মসূচি দিয়ে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে? অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। জামায়াত নিজেদের মতো করে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে। ২০১৩ সালের পর আলোচনার বাইরে থাকলেও চলতি বছরের ১০ জুন ঢাকায় সমাবেশ করে আবারও আলোচনায় আসে জামায়াত। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে বেশ সরব জামায়াতে ইসলামী। এমনকি দলটির সমর্থিত ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও বৃহৎ পরিসরে বিক্ষোভ মিছিল করছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর ও উপশহরে। চলতি বছরের ১০ জুন সর্বশেষ অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করে দলটি এরপরই যতবারই অনুমতি চাওয়া হয়েছে তার একটিরও অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তবে জামায়াত তাদের কর্মসূচি বন্ধ করেনি। অনুমতি ছাড়াই ঢাকাসহ সারা দেশে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। তবে ২৮ অক্টোবর নিয়ে ভিন্ন চিন্তা রয়েছে দলটির। জামায়াতের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তারা। ইতোমধ্যে সংগঠন বিভাগ, মহানগর, নগর, থানা ও ইউনিটসহ সর্বস্তরে মিটিং করছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর প্রশাসন অনুমতি না দিলেও যে কোনো মূল্যে সমাবেশ বাস্তবায়ন করবে দলটি। মতিঝিল জায়গা না পেলেও তার আশপাশে যে কোনো জায়গায় নিজেদের শক্তি জানান দিবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত হয়ে এক দফা দাবি কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, সরকারের কোনো ধরনের উসকানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নির্বাহী পরিষদ দেশবাসী এবং সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

জামায়াত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের জন্য ডিএমপির কাছে সহযোগিতা চেয়ে যে আবেদন করেছে তা নাকচ করে দিয়েছে প্রশাসন। এর পরই গণমাধ্যমে বার্তা পাঠায় দলটি। বার্তায় জামায়াত জানায়, ‘জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকা মহানগরীর শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা, বাধা দেওয়া নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪