1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

অতি বৃষ্টিতে দাম বেড়েছে মাছ-মুরগি-সবজির

  • সময় : শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৯৫
দাম বেড়েছে সবজীর
দাম বেড়েছে সবজীর

ডেস্ক রিপোর্ট-

সক্রিয় মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। গত দু-দিন ধরে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। বর্ষা মৌসুমেও এত বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে, বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে মাছ, মুরগি ও সব ধরনের সবজির দাম।

গত বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার রাত পর্যন্ত হয়। আর এতে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে বেড়ে যায় সব ধরনের কাঁচাবাজারের দাম। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মাছ ও মুরগির দামও।

শনিবার নগরীর নিউমার্কেট ও কলাবাগান ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো কিছুই। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। যেখানে সরকার নির্ধারিত আলুর দাম ৩৬ টাকা। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। যেখানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

এছাড়াও সব সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। এ সপ্তাহে পটল ৫০-৫৫ টাকা কেজি, লাউ ৫০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০, করোলা ৫০, শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০, সজনে ৬০, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা ২৪০, রসুন দেশি ২৬০, ভারতীয় ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে পণ্যের সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। সরবরাহ কম থাকার কারণে আড়ৎদাররা দাম বাড়িয়েছেন। সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম। তবে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

পাইকারি বিক্রেতা লাবু মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে মোকাম থেকে আমরা পণ্য পায়নি। যেটুকু পেয়েছি তাও বাড়তি দামে নিতে হয়েছে। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়েছে।

খুচরা সবজি ব্যবসায়ী ওহাব মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে আড়ৎদাররা প্রতিটি সবজির দাম বাড়িয়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনে স্বল্প লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে।

নিউমার্কেট কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা মাহবুব হোসেন বলেন, সব জিনিসের দামই বেড়েছে। কোনো কিছুই আর কম নেই। ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই। আলু, পেঁয়াজ সব কিছুরই দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, এত দাম খাবো কী? আমাদের তো আর আয় বাড়ছে না। এখন যদি বৃষ্টির কারণে দাম বাড়ে, নির্ধারতি দর করার পরও তবে তো আমাদের কিছু করার নেই। সরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাজার তদারকি করতে হবে। তা না হলে আমাদের মতো পরিবারে বাজার করাই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

এদিকে, এ সপ্তাহে বেড়েছে মাছের দাম। প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ২০০।

এছাড়াও ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ১৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। হাঁস বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা কেজিতে। এই সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা।

বাজার মনিটরিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেম ভারী বৃষ্টিতে বাজারে সরবারহ কিছুটা কম। তাই সবজি, পেঁয়াজ কাচামরিচ এসব কিছুর দামে প্রভাব পড়েছ। মূলত সরবারহ না থাকার অজুহাতে দাম বেড়েছে। আমরা মনিটরিং করছি, আমরা আশা করছি সব কিছুর দাম আবারও স্বাভাবিক হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪