শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সেইসঙ্গে ওই শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এসময় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়। একপর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলামে আটক করেন।
এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
রবিবার (১৮জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ররোয়া আর্জিনা-হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের মধ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান সেই শিক্ষক।
এরই মাঝে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে যায় ছাত্রীটি। পড়ে এই শিক্ষক বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এমনকি ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পড়ে বাড়ি এসে পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি খুলে বলে সেই ছাত্রী। পরবর্তীতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন প্রধান শিক্ষক তরিকুল ও তার লোকজন। এজন্য মোটা অঙ্কের টাকাও লেনদেন হয়।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকাবাসী। তারা ওই শিক্ষককের অপসারণ ও বিচার দাবিতে একাট্টা হয়।
তাই রবিবার বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পরপরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধারপূর্বক আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়েই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধারপূর্বক আটক করা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
বা বু ম / অ জি