আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরও তীব্র রূপ নিয়ে দু’দিন পরেই উপকূলে আঘাত হানতে পারে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের দিন বৃহস্পতিবার আইএমডি জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর ও উত্তরপশ্চিমদিকে সরে যাচ্ছে এবং আরব উপদ্বীপের কোনো দেশে এই ঝড়টির আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। শুক্রবারের টুইটবার্তায়ও ‘বিপর্যয়’র উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যাওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু ২ দিন পড় ঝড়টি ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে— সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
আরব সাগরের তীরবর্তী অপর দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর পাকিস্তান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (পিএমডি) পৃথক এক টুইটবার্তা, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র প্রভাবে আরব সাগরের তীরবর্তী ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার বৃষ্টিপাত হবে।
আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়া’র উপকূল থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মুম্বাই থেকে ৮৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ‘বিপর্যয়’।
ভারত কিংবা পাকিস্তানের কোনো উপকূলে ‘বিপর্যয়’র আছড়ে পড়ার সম্ভবনা এখনও নেই। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ভারতের গোয়া, গুজরাট ও মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকা এবং পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচি ও বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় আগামী ১০, ১১ ও ১২ জুন ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি ও পিএমডি।
র্তমানে সাগরের যে অঞ্চলে বিপর্যয় অবস্থান করছে, ইতোমধ্যে সেখানকার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বাতাসের গতিবেগ পৌঁছেছে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটারে। পিএমডির সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে এবং যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে, তার আশপাশের সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি ও পিএমডি।
সূত্র : এনডিটিভি/ জিওটিভি
বা বু ম / অ জি