জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) ১৪ জন শিশু করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থী থাকায় ওই শ্রেণির পাঠদান ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে আরও দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯জন ছাত্রী। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই পাঠদান বন্ধ হয়ে যাবে।
বর্তমানে পাঠদান বন্ধ থাকা ওই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, গত বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জানতে পারি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী কোভিড পজিটিভ হয়েছে। পরে জেলা শিক্ষা অফিসারের পরামর্শে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক রিক্তা বানু বলেন, ছয় থেকে ৯ বছরের যেসব কন্যা শিশুর বাবা নেই এমন পরিবারে ৬৫ জন এতিম শিশুকে সরকারি খরচে লালন পালন করা হচ্ছে। সরকারি পরিবারের এসব শিশু আশপাশের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করে। শিশুদের বয়স ১৮ বছর হলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রিক্তা বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর দুজন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০ সেপ্টেম্বর তাদের কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যেই শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
করোনা শনাক্তে তিনদিনে ২৩ জনের পরীক্ষার পর ২৩ সেপ্টেম্বর ১৩ জনের পজিটিভ আসে। আজকের রিপোর্টে একজন বেড়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ জন হয়েছে।
আক্রান্তরা সবাই শিশু পরিবারে আইসোলেশনে আছে জানিয়ে রিক্তা বলেন, কারো কোনো জটিলতা নেই। প্রতি ঘণ্টায় তাদের জ্বর মেপে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবারের সুস্থ শিশুদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবে আতঙ্কিত না হয় সে বিষয়ে তদারকি করছেন কর্তৃপক্ষ। তবে ১৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কাউকে স্কুলে পাঠানো হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সমাজসেবা বিভাগ থেকে বিষয়টি জেনেছি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুদের আইসোলেশনে রাখতে এবং বিদ্যালয়ে না পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বাচ্চাদের দেখাশোনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে