আব্বাস আলী। ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের আত্বপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল বিকাল ৫ ঘটিকায় ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী হাইস্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংগঠনের প্রথম মিটিং অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাসুদ পারভেজ (সিনিয়র শিক্ষক)মাওলানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ঝিনাইদহ, পার্থ প্রতীম কুন্ডু (সিনিয়র শিক্ষক) ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোঃ জাকির হোসেন আমেনা খাতুন কলেজ ঝিনাইদহ, বিদ্যুৎকুমার মন্ডল (সিনিয়র শিক্ষক) শিশু কুঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজ ঝিনাইদহ, মোঃ আক্তারুজ্জামান (প্রভাষক) অর্থনীতি জি কে আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ, মোঃ আনোয়ার জাহিদ (প্রভাষক) আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ ও জি, টি ডিগ্রী কলেজ কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্বাস আলী।
আলোচনায় আলোচকগন বলেন, কিভাবে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা যায়। সেখানে মূল্যবান বক্তব্য ছিল সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঔক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে। সকলের একটাই লক্ষ্য জাতীয়করণ। অনেকে বদলির কথা বলছেন। একজন শিক্ষক তিন বছরের বেশি ওই প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারবেন না। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা করে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। জাতীয়করণ করলেন সরকারের কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে না সকল শিক্ষার্থীর একটি নির্ধারিত ফ্রী ধার্য করলে ওই অর্থ দিয়েই শিক্ষকদের সম্মানী দিতে পারবে তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। সরকারকে যদি বোঝাতে পারি সরকারের কোষাগার থেকে কোনো অতিরিক্ত অর্থ যাতে করে জন্য ব্যয় করতে হবে না আমাদের অর্থ দিয়ে সরকার জাতীয়করণ করতে পারবে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একই ধরনের কিন্তু বেতন কাঠামো হচ্ছে ভিন্ন ধরনের। তাই কেউ খাবে আর কেউ খাবে না এটা হতে পারে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। দেশে মান সম্পন্য শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হলে অবশ্যই জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই। আমরা যে শিক্ষক মনে পড়ে তখন যখন সন্তানের চাহিদা পূরণ করতে পারি না।
অনুষ্টানের মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মোঃ আনোয়ার জাহিদ ( প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা, আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ), তিনি বলেন, জাতীয়করণ বেসরকারি শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার। সুতরাং বেসরকারি শিক্ষকরা মৌলিক অধিকার যাতে পায়, সেজন্য সরকারকে শিক্ষার উন্নয়ন কাজ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করতে সহজ হবে। অন্য দিকে শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ কমবে। জাতীয়করন করলে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে সমাজ উন্নয়ন হবে,দেশ এবং জাতির উন্নয়ন সম্ভব হবে। জাতীয়করণের জন্য সরকারের বেশি অর্থ লাগবে বলে আমার মনে হয় না। শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ বহন করা সম্ভব। অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বয়স ৫০ বছরের অধিক কিন্তু জাতীয়করণ হয়নি। ১৭ বছরেও ২৫% ঈদ বোনাস পরিবর্তন হয়নি। বদলির কোনো সুযোগও নাই। এছাড়াও নানাবিধ সমস্যা আছি বেসরকারি শিক্ষকদের। আর এ সমস্থ সমস্যার সমাধান জাতীয়করণ। তাই সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া জাতীয়করন সম্ভব নয়। শুধু। তাই জাতীয়করণের জন্য সমস্ত সংগঠন একসাথে কাজ করলে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সবশেষে ঝিনাইদহ জেলার সকল স্কুল কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের পতাকাতলে সামিল হওয়ার আহবান জানানো হয়।