ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি।
সরকার ঘোষিত করোনার টিকা কার্যক্রম ৭ই আগষ্ট আগস্ট সারা বাংলাদেশ ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও পৌরসভা কার্যালয়ে শুরু হয়। সকাল ৯ টা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন ওয়ার্ডের, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উদ্বোধন করেন স্ব স্ব ওয়ার্ডে। চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৭ ও২০ নং ওয়ার্ড দেওয়াননবাজার এলাকায় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি চলাকালীন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক দিকে ভারী বর্ষণ ও চট্রগ্রামের চক বাজার,পশ্চিম বাকলিয়া ও দেওয়ান বাজার এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হওয়াই স্বাস্হবিধী মেনে টিকা দান কার্যক্রমে ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের বেগ পেতে হচ্ছে।
সকালের দিকে টিকা নিতে আসা জনসাধারণের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ কিছুটা কমে আসে। এই সময় অনেক জনসাধারণকে টিকা নিতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। টিকা নিতে এসে ফিরিয়ে দেওয়া সময় ২/১ জন ভুক্তভোগী সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারের প্রথম ঘোষণা ছিল ভোটার আইডি কার্ড পাসপোর্ট কপি অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে পৌরসভা কার্যালয় ইউনিয়ন পরিষদ অথবা টিকা প্রদানের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে গেলে টিকা নেওয়া যাবে, কিন্তু সরকার পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে প্রতিটি পৌরসভা কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ও ওয়ার্ডে সঠিক তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়ার ঘোষণাটি যথাযথ প্রচার না হওয়াই বিভ্রান্তিতে পড়ে যান টিকা নিতে আসা স্থানীয় জনসাধারণ।
এই সব অসঙ্গতির ব্যাপারে সাবেক প্যানেল মেয়র, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
কেন্দ্রঃ
★কায়সার-নীলুফার কলেজ
★আর্বান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সেন্টার ও
★দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়।
ও ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া,সৈয়দ শাহ রোড, রসুলবাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনারা বলেন, সরকার ঘোষিত কার্যক্রম সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে আমাদেরকে পরিচালনা করতে হয় ৭ই আগস্টের একদিনের এই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলমান কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ১৪ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় দফা টিকা প্রদান কর্মসূচিতে বাধ পড়া সকল নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কেউই এই কার্যক্রম থেকে বাধ যাবে না। সকলে যদি ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট দিয়ে স্ব স্ব পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদ ও ওয়ার্ড কার্যালয়ে এসে নিবন্ধন করে নেন তাহলে এই কর্মসূচি সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
এই সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সড়কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের কে মাক্স বিতরণ করতে দেখা যায়।