বিনোদন প্রতিনিধি:
জনপ্রিয় টিভিনাটক ও সিনেমার নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাত ১০টায় মিন্টো রোডের কার্যালয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকেও কথিত এই মা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখন তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে যখন ডাকা হবে, তিনি আসবেন। এই শর্তে তাঁকে ছাড়া হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে চয়নিকা চৌধুরীর গাড়ি ডিবি পুলিশ ঘিরে ফেলে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে যেতে হবে জানিয়ে নেমে আসতে বললেও তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার পর একপর্যায়ে তিনি তাঁর গাড়িতে নারী পুলিশ সদস্যদের ওঠার অনুমতি দেন। এরপর ওই গাড়িতে ডিবির আরও কয়েকজন উঠে পড়েন। সেই গাড়িতে করেই তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমনির মধ্যে সখ্যের বিষয়টি সবারই জানা। চয়নিকা চৌধুরীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমনি। উত্তরা বোট ক্লাব-কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে সব সময় দেখা গেছে তাঁকে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। রাত আটটার পর তাঁকে বাসা থেকে বের করে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।