সুমন পাটোয়ারী গাজীপুর প্রতিনিধি,
গাজীপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
জেলার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. পারভেজ হোসেন জানান, তাদের হাসপাতালে সম্প্রতি একজন পল্লী চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হয়।
চারদিন আগে এখানে একজন পুলিশসহ নয়জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে সোমবার একজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার সকালে ১১ জন রোগী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বাদে অন্যরা সবাই গাজীপুর শহরের বাসিন্দা।
তিনি বলেন, “গাজীপুরে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার পর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার সদর হাসপাতালে ১ জুলাই থেকে ২০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট খোলা হয়েছে। তবে ১৫ জুলাই থেকে এ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়।”
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটির মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, “শনিবার ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি সফল করতে আমি গাজীপুর মহানগর বাসিন্দাদের নিজ দায়িত্বে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার আবাস্থল ধ্বংস করার অনুরোধ জানাই।
“কারও বাসা বা কারখনায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আইনানুয়ায়ী মালিকদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হবে। এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন।”
তাজউদ্দীন মেডিকেলে করোনাভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের ল্যাবে কোভিড পরীক্ষা মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে।
কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও ল্যাব প্রধান সহকারী অধ্যাপক এসকে সাইফুল আলম জানান, পিসিআর ল্যাবে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। সোমবার বিষয়টি ধরা পড়ার পর মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়।
তিনি বলেন, সোমবার বিকালে পিসিআর মেশিনে পরীক্ষার জন্য ১২৩টি নমুনা দেওয়া হয়। এতে ১১৫টি পজিটিভ ও আটটি নেগেটিভ আসে। এতে সন্দেহ দেখা দেয়। এছাড়া পিসিআর টিউবে যেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি একেবারেই থাকার কথা নয়, সেখানেও ভাইরা পাওয়ায় যন্ত্রে ত্রুটির বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। পরে সব নমুনা পুনরায় পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে যন্ত্রাংশ ও ল্যাব জীবাণুমুক্ত করার পর শুক্রবার থেকে আবার পরীক্ষা করা যেতে পারে বলে তিনি জানান।